23 C
Dhaka
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় বিনোদন

যে কারণে হেরে গেলেন মৌসুমী

বাংলার মুখ ডেস্ক:

অনেক আশা জাগিয়েও ইতিহাস করতে পারলেন না প্রিয়দর্শিনী চিত্রনায়িকা মৌসুমী। গতকাল (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নারী সভাপতি হিসেবে ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছেন এই নায়িকা।

ভোট গণনা শুরু হওয়ার পরও বারবার এসেছে মৌসুমী এগিয়ে আছেন। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সময় জানা গেল ১০২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মিশা সওদাগর।

ভক্ত-দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে মৌসুমী থাকলেও ২২৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর। মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট।

এদিকে কেন হেরে গেলেন মৌসুমী সেই আলোচনা চলছে দিনভর। আলোচনায় ঘুরেফিরে এসেছে শিল্পী সমিতির ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার রাজনীতি। অনেকে এটাকে ‘ব্যাড পলিটিক্স’ বলেও অভিহিত করছেন। তবে রাজনীতির মাঠে ভোটার টানতে এ রাজনীতিকে স্বাভাবিক বলেই মানছেন অনেকে।

এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে শিল্পী সমিতির ভোটার তালিকায় দেখা যায় ব্যাপক পরিবর্তন। পুরনো ১৮১ জন সদস্যকে অযোগ্য ঘোষণা করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয় মিশা-জায়েদ প্যানেলের ফেভারে থাকা একঝাঁক ভোটার। যেখানে নবাগত নায়ক-নায়িকাদের পাশাপাশি আছেন ফাইটারদের সমিতি ও নৃত্যশিল্পীদের সমিতির সদস্যরা। ফাইটার আরমান ও নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুলের নেতৃত্বে এই দুই সংগঠনের ভোটাররা মিশা-জায়েদ প্যানেলকে একচেটিয়া ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে অভিনেতা ওমর সানি বলেন, ‘প্রকৃত শিল্পীরা মৌসুমীকে ভোট দিয়েছেন এই বিশ্বাস আমার আছে। কিন্তু শিল্পী সমিতিতে আরও দুটি অংশ রয়েছে, যেগুলোর সদস্যরা নির্বাচনে ভাইটাল ভূমিকা রেখেছে। তারা হলো নৃত্যশিল্পী ও ফাইটের লোকজন।’

‘এদের মধ্যে ফাইটের যে গ্রুপটা রয়েছে তাদের কাছ থেকে আমরা ভোট পাইনি। এরা নির্বাচনের সময় সবাই মিলে এক হয়ে যায়। এদের কীভাবে তারা ম্যানেজ করেছে সেটা আমি বলতে চাই না। নির্বাচনের আগে তারা একটা ভোটব্যাংক বানিয়ে নিয়েছে। হেরে যাওয়ার এটা অন্যতম কারণ।’

তবে হেরে গেলেও বিজয়ীদের জন্য শুভকামনা রাখছেন ওমর সানি। মৌসুমীকেও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিবন্ধকতার মুখেও লড়াই করার জন্য।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয়। এবারের নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ৪৪৯ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৬ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোট পড়েছে ৩৫২টি।

এবার সভাপতি মিশা সওদাগরের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। তিনি হারিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরাকে।

সম্পর্কিত পোস্ট

সুখবর দিলেন অভিনেত্রী মিথিলা

banglarmukh official

দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের দায়িত্ব পেল পুলিশ

banglarmukh official

মেজর ডালিমকে নিয়ে প্রশ্ন, যে প্রতিক্রিয়া জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

banglarmukh official

নিজের জানাজার দাওয়াত দিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

banglarmukh official

সেই মতিউরের আরও ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা

banglarmukh official

মেট্রোরেলের সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি

banglarmukh official