মানুষের জীবনে বিয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, যার প্রভাবে আমাদের জীবন অনেকটাই বদলে যায়। আর এই বিয়ে নিয়ে মেয়েদের চিন্তার শেষ নেই। কাকে বিয়ে করবেন, কীভাবে সংসার সাজাবেন এ নিয়ে চলে নানা হিসাব-নিকাশ। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার না ডাক্তার ছেলে মেয়েদের পছন্দ এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক।. তবে ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে এনিয়ে একটি লেখা আজ পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো- > ইঞ্জিনিয়াররা কমপ্রোমাইজে অভ্যস্ত। কাল ক্লাস টেস্ট? ওকে! কুইজ আছে? বিশাল ল্যাব রিপোর্ট? নো প্রবলেম! তাই বিয়ের পর আপনি যদি বলেন, আজকে আমার মামাতো বোনের শ্বশুড়ের ভাগ্নের বড় ভাইয়ের প্রতিবেশির ছেলের সুন্নতে খৎনার দাওয়াত; এরা সানন্দে মেনে নিবে এবং শত ক্লান্ত হলেও আপনার সাথে বের হবে।
ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে ঝগড়া করে আপনি অপার শান্তি লাভ করবেন। এরা প্রতি উত্তর দিবে না। কারণ এক কান দিয়ে লেকচার ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করতে এরা বিশেষভাবে পারদর্শী।
সর্বোপরি, ইঞ্জিনিয়াররা সর্বংসহা। যতোই প্যারা দেন, এরা নিতে পারে। ১৬০-৭০ ক্রেডিটের নরক যন্ত্রণা সহ্য করে বলে এরা সবই হাসিমুখে সহ্য করতে পারবে।
ইঞ্জিনিয়াররা কখনোই আপনার রান্নার খুঁত ধরবে না। সাধারণত তারা হল এবং ক্যাফেটেরিয়ার সুস্বাদু (!) খাবার খেয়েই অভ্যস্ত। আপনার হাতের রান্না যে খেতে পাচ্ছে এটাই তাদের জন্য অনেক!
স্বভাবতই এরা কঠিন হিসাবের মানুষ। কয়টা ক্লাস মিস দিলে অ্যাটেন্ডেন্স 60% এর উপরে থাকবে থেকে শুরু করে ফেইল ঠেকাতে আর কত মার্কসের প্রয়োজন, এমন জটিল জটিল হিসাব কষে তারা দিন পার করে। তাই মাসিক ইনকাম যাই হোক না কেন, সংসার চালাতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না!
এরা কিঞ্চিৎ স্নেহের কাঙাল। সারাজীবন স্যারদের কাছ থেকে ‘অপদার্থ, গাধা -গরু -ছাগল, কিচ্ছু পারো না, সব থেকে বেয়াদব ব্যাচ…’ শুনে অভ্যস্ত। তাই দুয়েকটি ভালোবাসার কথা শুনলেই এদের অবস্থা প্রভুভক্তের মতো হয়ে যায়!