আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় সংশোধন আনতে চায় নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার ৩৭তম সভায় ইসির আইন সংস্কার কমিটি চারটি বিষয়ে সংশোধন এনে প্রস্তাবনা রাখতে যাচ্ছে।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে এ দিন বিকেল ৩টায় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। দেশের বাইরে থাকায় সভায় থাকছেন না মাহবুব তালুকদার। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, সংশোধিত আচরণবিধিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকলে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এমন- ধারা যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে প্রচারণায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কিছু ধারা সংযোজন, জীবন্ত প্রাণী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলসহ কিছু ধারা এতে যুক্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আচরণবিধিতে বড় কোনো ধরনের সংশোধন নেই। জীবন্ত প্রাণী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নিষিদ্ধ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলসহ কিছু ধারা যুক্ত হতে পারে আচরণবিধিতে।
ইসির উপসচিব মো. মঈন উদ্দীন খান স্বাক্ষরিত সভায় কার্য তালিকার আলোচ্যসূচিতে চারটি বিষয় রাখা হয়েছে। এগুলো হলো- সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর সংশোধন; স্বতন্ত্র প্রার্থীর (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা ২০১১ সংশোধন এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা ২০১৮ নামে নতুন করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন; বিবিধ।
রোববার কমিশন সভায় এসব বিধি অনুমোদন পেলে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভেটিং হয়ে আসার পর এগুলো বিধিতে পরিণত হবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।