28 C
Dhaka
নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আদালতপাড়া জাতীয়

সাগর-রুনি হত্যা: রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তার অনুমতি পেলেন ৯ আইনজীবী

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীর ব্যক্তিগত খরচে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার আনুমতি দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলী রোমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সোমবার একই আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য ৯ আইনজীবীকে নিয়োগের আবেদন করেন বাদী। শুনানি শেষে আদালত বাদীর উপস্থিতিতে এ বিষয় শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

আবেদনে বলা হয়, মামলার ভিকটিম সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনিকে অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিরা ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। মামলাটি দীর্ঘ ১২ বছর তদন্ত চলামান থাকলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। আবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলায় কোনো প্রকার অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদী পক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আব্যশ্যক।

শিশির মনির ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন-অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন ও মোত্তাকিন হোসাইন।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

সম্পর্কিত পোস্ট

অবরুদ্ধ পেট্রোবাংলা, ভেতরে আটকা শত শত কর্মকর্তা

banglarmukh official

গরুর মাংসের দাম এখনও নাগালের বাইরে: ফরিদা আখতার

banglarmukh official

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ: হাইকোর্ট

banglarmukh official

শহিদি মিছিলে যুক্ত হলেন আরও এক শিক্ষার্থী

banglarmukh official

কেমন সংবিধান হওয়া উচিত, জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

banglarmukh official

সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ডে

banglarmukh official