বরিশাল থেকে ঢাকা বিমানে যাতায়াতের জন্য বরিশাল তথা দক্ষিণবঙ্গে একটিমাত্র বিমানবন্দর রয়েছে বরিশালে। এই অঞ্চলের ভিআইপি, ট্যুরিষ্ট, শিল্পীপতি ও বিলাসী মন মানসিকতার অধিকারী লোকজন স্বল্প সময়ে আরামদায়ক ভ্রমনপথ হিসেবে বিমানে চলাচল পছন্দ করেন।
যাত্রীসেবার মান উন্নত থাকলেও বিমানবন্দরের ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ চৌধুরী’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায় বিমানবন্দর রানওয়ের দুই পাশে ছোট ছোট পুকুরে লিজ দিয়ে মাছ চাষ করার কারনে বাজপাখির উপদ্রব বেড়েছে যা বিমান চলাচলে দুর্ঘটনার কারণ এবং বাজপাখির উপদ্রবের কারনে ১ ঘন্টা পরে বিমান ল্যান্ড করার সত্যতা পাওয়া গেছে । রানাওয়েসহ বিমানবন্দরের সামনের ঘাস বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। যা অনুসন্ধানে আরো তথ্য পাওয়া যায় যে, ঘাস ক্রয়কারী ব্যাক্তির সংখ্যা প্রায় ১০০ জন, এবং প্রত্যেকের কাছে ১২০০ টাকা করে ঘাস বিক্রির প্রমান রয়েছে, এবং শাহাদাত নামের এক কৃষক এর কাছে ৪০ হাজার টাকার ঘাস বিক্রির প্রমান পাওয়া যায়।
এছাড়াও বিমানবন্দরে ৬ সদস্যের ব্লাকে টিকিট বিক্রির একটি সিন্ডিকেট রয়েছে যা, ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণাধীন।
বিমানবন্দরের সামনে সেগুন গাছ বিক্রি ও নিজ বাসায় ফার্নিচারের জন্য সাড়ে সাত ফুটের একটি সেগুন গাছ নিয়ে যাওয়া ও টেন্ডার ছাড়া বিমান বন্দর এরিয়ার গাছ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে ।
এছাড়া বিমানবন্দরে কোন অস্ত্রাগার নেই, দীর্ঘদিন পর্যন্ত কেন্টিন সমস্যা, যাত্রীদের কাছে মালামাল পৌছানোর বেল্ট নষ্ট দীর্ঘদিন যাবৎ , এ ব্যাপারে তাকে বেশ কয়েকবার বলার পরেও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ম্যানেজারের।
ডরমেটরি সমস্যা, রানওয়েতে অহরহ মানুষের যাতায়াত সহ আরও নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান।
এতসব অভিযোগ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা থাকলেও বিমানবন্দরের ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ চৌধুরী এগুলো মানতে নারাজ। তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি উপরস্থ কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে সরাসরি সাক্ষাৎ না করে মোবাইলে সাংবাদিকদের বলেন কিছু কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে, তবে তিনি মাছ চাষ, গাছ বিক্রি ও ঘাস বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন এসব টাকা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে জমা রয়েছে যার পরিমান আনুমানিক দেড়লক্ষ টাকার মত হবে যা বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয় খাতে খরচ করা হয়।কিন্তু তথ্য অনুযায়ী যে আরো লক্ষ লক্ষ টাকার দূর্নীতি করে যাচ্ছে। যা তদন্ত করা হলে তার এসব অপকর্মের ও লক্ষ লক্ষ টাকার দূর্নীতি বেড়িয়ে আসবে।
তবে ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ চৌধুরী বলেন, এসব কাজ কোন দূর্নীতির মধ্যে পরে না, দেশের সকল বিমানবন্দরেই এরকম চলে। এসব নিয়ে ভাবার সময় নাই।……