অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তৃতীয় জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডস্থ আল -হেরা জামে মসজিদের পাশের সড়কে ফাহাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার রাত ১০টার দিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ফাহাদের মরদেহ তার বাবা বরকতুল্লাহর কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। রাতেই তিনি সন্তানের মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হন।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গত রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল সোমবার বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকতুল্লাহ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি ও চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
ফাহাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।