নিউজ ডেস্ক:
বরিশালে আলোচিত কথিত সংবাদ কর্মী ও মানবাধিকার কর্মী শিরন খানম ওরফে টিকটক শিরিননের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।গতকাল রোববার আশংকাজনক অবস্থায় তাকে শেরেবাংলা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় শিরিনের মালিকানাধীন একটি ঔষধের দোকান রয়েছে।গত ৯ সেপ্টেমবর অবৈধ ও নকল ঔষধ বিক্রির সময় একজন ভুয়া ঔষদ সরবরাহকারী সহ আটক হন এবং সাতদিনের জেল দেন ভ্রামামান আদালত। এরপর থেকেইই বের হতে থাকে শিরিনিের বাস্তব চরিএ ও কাজের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য।জানা গেছে শিরিনের বিয়ে বানিজ্য ছিল পুরনো পেশা।তিনি এ পর্যন্ত চার জনকে বিয়ে করে ছেড়েছেন এবং টাকা পেয়ে নতুন বায়না না রাখায়,ফের ধর্ষন,নির্যাতন, মামলাও রয়েছে এমন নির্যাতন রয়েছে।একাধিক পুরুষদের শিরিনের উশৃংখল চলাফেরা করে বিতর্কিত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়।তিনি মানবাধিকার কর্মী হওয়ায় পুলিশের সাথে গড়ে উঠে সখ্যতা।ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাবু করে তার প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ব্লাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা অনৈতিক উপায়ে উপার্জন করছে বলেও একাধিক সুএে জানা গেছে।স্টিমারঘাট এলাকার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী মারুফের সাথে গোপন মেলামেশার একপর্যায়ে ব্লাকমেইলিং করে মোটরসাইকেলসহ কয়েক লাখ টাকা আত্নসাৎ করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে শিরিন।হেলাল নামের এক এক ব্যক্তিকে প্রেমেরর জালের ফাঁসিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে অর্থ আত্নসাৎ করে তার বৈবাহিক সম্পর্ক ও ছিন্ন হয়েছে এ নারীর কারনে বলেও জানা গেছে।এছাড়া প্রায় ২ বছর আগে বরিশাল গ্রিনলাইন টিকিট কাউন্টারে চাকরি করে বাপ্পি নামের এক যুবককে প্রেমের ফাদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়।শুধু তাই নয় শিরিননের প্রথম জামাই হুমায়ন তিনি বাংলাদেশ আনসার ভিডিপিতে চাকরি করেন।শিরিনের অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে শিরিনকে এক সন্তান সহ তালাক দেন।পরে আবার মিজান নামে এক যুবককে তার প্রেমেরর ফাদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।লঞ্চঘাট এলাকার একাধীক ব্যবসায়ী ও মুসল্লীরা জানান, শিরিন বেপর্দায় ফেসবুকে টিকটক ভিডিও করে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদের উম্মাদ করে রাখতো একারনে তার নামে সাথে শিরিন উপাধী দেয়া হয়।সবমিলিয়ে শিরিনের নামে একাধিক অভিযোগ থাকায় সে তোপের মুখে পড়ে।পরে তাকে তার ফার্মেসী তি ছাড়ার নির্দেশ দেন মালিকপক্ষ।শিরিন উপায় না পেয়ে আস্রয় নেন উক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটি এম শহীদুল্লাহ কবির কাছে।তখন শিরিনকে উক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন,যে এখানে আমার কিছু করার নাই।আমি এই ওয়ার্ডের একজন প্রতিনিধি।যেহেতু মালিকপক্ষ তোমাকে দোকান ছাড়ার নির্দেশ দিছে তুমি সেটা সমঝোতা করে ব্যবস্থা গ্রহন করো।কিন্ত শিরিন তার ফেসবুক লাইভে,লঞ্চঘাটের কিছু ব্যবসায়ী সহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাম বলেন।তখন কিছু কুচক্রী মহল ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠছে।কিন্ত তার মৃত্যুর সাথে কাউন্সিলর কোন সত্যতা এখন পর্যন্ত পাওয়া জায়নি।এ ব্যপারে এক ব্যবসায়ীর কাছে আলাপকালে সে জানায়,শিরিনের মৃত্যুর সাথে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেবের জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই উঠেনা।সে এই ওয়ার্ডের একজন সৎ এবং আদর্শবান কাউন্সিলর।এদিকে কাউন্সিলর শহীদুল্লাহ কবির কাছে ফোন দিলে সে জানায়,আমারর সাথে এই ওয়ার্ডের সকলের কথাবার্তা হয়।শিরিন নামে এক মহিলা আমার কাছে,তার দোকান নিয়ে একটা আবদার করতে আসলে আমি তাকে জানাই,তুমি মালিকপক্ষের সাথে আলাপকরে সমাধান করো।যেহেতু আমি এই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি শিরিনের সাথে কথা বলাটা আমার যুক্তিসংগত।কিন্ত কে বা কারা শিরিনের ফেসবুক লাইভ নিয়ে আমার নামে অপপ্রচার চালাতে আছে এ ব্যপারে সঠিক কিছু জানিনা। তবে আমি আশা করি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকল কিছু বেরিয়ে আসবে।