চণ্ডীপাঠ ও আগমনি গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বরিশালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে শুরু হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৬টায় বরিশাল নগরের স্ব-রোডের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ নিবাস মন্দিরে অগ্রগামী যুব সংঘের আয়োজনে মহালয়া উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ৬টায় গীতাপাঠ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে মহালয়ার সূচনা হয়।
বিশ্বনাথ রায়ের চন্ডি পাঠের সঙ্গে আগমনি সংগীত পরিবেশন করেন মৈত্রী ঘরাই ও কমল ঘোষের নেতৃত্বে শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ গীতিনাট্য “মাতৃরূপেণ সংস্থিতা”পরিবেশন করে তিলকস গ্রুপ।
শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ নিবাস মন্দিরে সাধারণ সম্পাদক ভানু লাল দে জানান, বরিশালে শারদীয় উৎসব ছড়িয়ে দিতে মহালয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।ব্যতিক্রমী এ আয়োজন বরিশালে উৎসবে ভিন্ন মাত্রা বিরাজ করে।
এছাড়াও বরিশাল নগরের শীতলা খোলা মন্দিরের আয়োজনে মহালয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষ তিথিকে বলা হয় ‘দেবীপক্ষ’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এদিন কৈলাসের শ্বশুরালয় ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে পৃথিবীতে আসেন দেবীদূর্গা। মণ্ডপে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু হয় এদিন থেকে।
আগামী ৮ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। দেবীদূর্গা এবার দোলায় আগমন এবং ঘোটকে গমন।
রাধা গোবিন্দ নিবাস পূজা উদ্যাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ সাহা জানান, মহালয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ থেকেই শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, এবারের পূজা নিয়ে শঙ্কিত তারা। তবে দেবীর আগমনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস তাদের।
এ ছাড়াও বরিশাল নগরের বিভিন্ন মন্দিরে মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়।