বরিশালে ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে গাছ ভেঙে চাপা পড়ে মেহেদী হাসান শাওন (২৩) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাওন নবগ্রাম রোড এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে এবং নগরীর চৌমাথা এলাকায় বিআইটিসি কলেজের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম কলেজছাত্র শাওনের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, শাওন সকালে চৌমাথায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে প্রাইভেট পড়তে বের হয়। নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় আসলে বৃষ্টির কারণে নারিকেল গাছের নিচে অপেক্ষা করছিল। এ সময় ঝড়ো বাতাসে পুরনো নারিকেল গাছটি ভেঙে শাওনের ওপর পড়ে। এতে সে গাছের নিচে চাপা পড়ে মাথায় আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে টানা ১৮ ঘণ্টা মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার বিকেলের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৃষ্টির বেগ বৃদ্ধি পায়। একই বেগে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দুপুর ২টার দিকে সূর্যের দেখা মেলে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. আনিচুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতিণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার।