29 C
Dhaka
এপ্রিল ২৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ক্রিকেট খেলাধুলা

বিজয়-রনিকে পেয়ে খুশি কুমিল্লা কোচ

প্লেয়ার্স ড্রাফট মানেই ভাগ্যের লড়াই। সাত দলের মধ্যে প্রতি কলের আগে লটারি। তাতে সবার আগে পছন্দর ক্রিকেটার বেছে নেয়ার সুযোগ। তাই পছন্দের ক্রিকেটার পেতে ভাগ্যর আনুকূল্য বিশেষ দরকার। সব দলের তাই প্লেয়ার্স ড্রাফটে ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে ছাড়া উপায়ও নেই।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীনও ভাগ্যের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল, স্থানীয়দের মধ্যে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান কাম উইকেকিপার ও একজন জেনুইন কুইক বোলার।

ব্যাটসম্যান কাম কিপার হিসেবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরের চোখ ছিল দুজনের ওপর- এক মুশফিক আর দুই, এনামুল হক বিজয়। প্রথমে কথা ছিল মুশফিক ড্রাফটে থাকবেন। তাই সালাউদ্দীন বাসা থেকে পণ করেই বেরিয়েছিলেন সুযোগ এলে মুশফিককে নিয়ে নেবেন। তাতে ব্যাটিং স্তম্ভর পাশাপাশি কিপারের অভাবটাও মিটবে। আর দ্বিতীয় পছন্দ ছিলেন এনামুল হক বিজয়।

অন্যদিকে পেস বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার রনির ওপরও চোখ ছিল সালাউদ্দীনের। শেষ মুহূর্তে মুশফিক এ প্লাস ক্যাটাগরিতে চিটাগাং ভাইকিংসে নাম লিখালে এনামুল হক বিজয়ই ছিল কুমিল্লার ফার্স্ট চয়েজ। সে অাশা পূরণ হয়েছে।

ড্রাফটে অন্য দল ডাকার আগে বিজয় আর পাশাপাশি আবু হায়দার রনিকে নেয়ারও সুযোগ চলে আসে। কাল বিলম্ব না করে ঐ দুই পছন্দের ক্রিকেটার এবং টিম কম্বিনেশনের শর্ত পূরণের পারফরমারকে পেয়ে তাই বেশ খুশি কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দীন।

প্লেয়ার্স ড্রাফটে এমন কোন ক্রিকেটার কি ছিলেন, যার দিকে লক্ষ্য ছিল? যাকে বা যাদের পেতে আগ্রহী ছিলেন? এমন প্রশ্নর জবাবেই বিজয় আর আবু হায়দায় রনির কথা বলেন সালাউদ্দীন, ‘আমাদের একজন উইকেট কিপার কাম ব্যাটসম্যান দরকার ছিল। কোটায় ছিল মুশফিক আর বিজয়। মুশফিক তো চলেই গেল। বিজয়কে না পেলে হয়ত বিদেশি কাউকে দিয়ে ঐ জায়গা ভরাট করতে হতো। আমরা সৌভাগ্যবান বিজয়কে কেউ না নেয়ায় আমরা ডাকার আগেই পেয়ে গেছি। একই ভাবে আবু হায়দার রনিকেও পাওয়া গেছে। এ বাঁহাতি ফাস্টবোলার এখন বেশ ভালো করছে। এ দুজনই আমাদের টার্গেটে ছিল। তাদের পাওয়ায় আমরা খুশি।’

কুমিল্লা কোচের অভিমত, ‘আমাদের টিম ব্যালেন্স হয়েছে। লোকাল কালেকশন ভালো হয়েছে। ভাগ্য প্রসন্ন থাকায় কিছু ভালো প্লেয়ার পেয়ে গেছি। আমি চেয়েছিলাম লোকাল প্লেয়ারদের মধ্যে যাদের নেব, তারা যেন একটু অভিজ্ঞ হয়। সৌভাগ্যবশতঃ তেমনই পেয়েছি। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিজ্ঞ ও পরিণত ক্রিকেটার কাজে দেয়। আমাদের দলে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট আছে। সেটাও কাজে লাগতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, পুরো দল কিভাবে এবং কত দ্রুত ছন্দ পায়।’

এর পাশাপাশি সঠিক ও কার্যকর ক্রিকেটারকে জায়গামত খেলানোটা খুব জরুরী বলে মনে করেন সালাউদ্দীন। তার অনুভব ও উপলব্ধি, সেটাই বরং সাফল্যর অন্যতম পূর্বশর্ত। নিজ দল সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে বলা হলে কুমিল্লা কোচ বলেন, ‘আমাদের মিডল অর্ডারটা বেশ শক্ত আছে। ঐ জায়গায় আছেন শোয়েব মালিকের মত অভিজ্ঞ ও ঝানু পারফরমার। যার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার সামর্থ্য প্রচুর।’

কিন্তু এমন এক অভিজ্ঞ, পরিণত ও দক্ষ্য ক্রিকেটারের সার্ভিস পুরো আসরে পাবে না কুমিল্লা। সেটাই সালাউদ্দীনের চিন্তার জায়গা। তিনি বলেন, ‘আমরা শোয়েব মালিককে পুরো আসরে পাব না। পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ আছে। তাই হয়ত চার-পাঁচ ম্যাচের পর শোয়েব মালিক চলে যাবেন। আর খেলতে পারবেন না। শোয়েব চলে যাবার পর একটু সমস্যা হতে পারে।’

ঐ একটি জায়গা ছাড়া আর তেমন বড় কোন ফাঁক-ফোকর নেই, এমনটাই বিশ্বাস কুমিল্লা দ্রৌণাচার্য্যের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মিরপুরে তামিমরা দিলেন মুশফিককে সংবর্ধনা

banglarmukh official

এশিয়ান কাপ নিশ্চিতে একই গ্রুপে বাংলাদেশ-ভারত

banglarmukh official

আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করতে সহজ লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

banglarmukh official

এবার ওয়ানডে সিরিজেও খেলা হচ্ছে না শান্তর

banglarmukh official

মিরপুরে শারমিনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের রেকর্ড পুঁজি

banglarmukh official

কথা শোনেননি তাসকিন, ছয় উইকেট পাওয়ার পর যা লিখলেন স্ত্রী

banglarmukh official