এপ্রিল ২৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

যেভাবে দোয়া করলে দ্রুত কবুল করা হবে বললেন বিশ্বনবি

অন্তরে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে একনিষ্ঠভাবে দোয়া করা। দোয়ার পরিপূর্ণ সফলতা লাভে খাঁটি নিয়তে কেবলামুখী হয়ে দোয়া করতে স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

কোনো কিছু চাওয়ার আগেই আল্লাহর প্রশংসা এবং প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওপর দরূদ পাঠ করে ধিরস্থিরভাবে নিজের প্রয়োজনের কথা আল্লাহর কাছে তুলে ধরা। তাতে দোয়া দ্রুত কবুল হয়। এ রকমই বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তবে প্রয়োজন তুলে ধরার আগে আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর দরূদ পড়ার কথাও বলেছেন তিনি। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তি তার নামাজের মধ্যে দোয়া করতে দেখলেন। ওই ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করল না এবং আল্লাহর নবি ওপর দরূদ পড়ল না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, ‘হে মুসাল্লি! (নামাজি) তুমি দোয়া করতে তাড়াহুড়া করলে। অতঃপর তাকে দোয়া করার নিয়ম শিখিয়ে দিলেন।

পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য একজনকে দোয়া করতে শুনলেন। ওই ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করল এবং নবির ওপর দরূদ পড়ল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তুমি দোয়া কর, তোমার দোয়া কবুল করা হবে। তুমি যা চাও তোমাকে তা দেয়া হবে।’ (নাসাঈ, তিরমিজি, মিশকাত)

অন্য হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে চাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি একমাত্র তুমিই আল্লাহ। তুমি ব্যতিত প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই। তুমি একক নিরপেক্ষ মুখাপেক্ষিহীন। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্ম নেননি। তার সমকক্ষ কেউ নেই।

তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘অবশ্যই সে আল্লাহকে এমন নামে ডেকেছে যে নামে চাওয়া হলে দেয়া হয়। প্রার্থনা করা হলে কবুল করা হয়।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, বুলুগুল মারাম)

সুতরাং মানুষ যখন আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইবে কিংবা দোয়া ও মোনাজাত করবে, তখন তারা আল্লাহর প্রশংসা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পাঠ করে তার পর কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের আবেদন করবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দোয়া করতেন তখন এভাবে আল্লাহর প্রশংসা করতেন-
اِنَّ الْحَمدَ للهِ نَحْمَدُهُ وَ نَسْتَعِيْنُهُ مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَ مَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِىَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَ رَسُوْلُهُ
উচ্চারণ : ইন্নাল হামদা লিল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নাসতায়িনুহু মাই ইয়াহদিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লা লাহু ওয়া মাই ইয়ুদলিল ফালা হাদিয়া লাহু ওয়া আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ (মুসলিম, মিশকাত, তিরমিজি, আবু দাউদ)

যারা দোয়ার সময় এটি পড়তে পারবে না তারা চাইলে ছো্ট্ট এ প্রশংসা করতে পারেন। আর তাহলো-
نَحْمَدُهُ وَ نُصَلِّىْ عَلَى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ
উচ্চারণ : নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম।

اَلْحَمْدُ للهِ وَحْدَهُ وَ الصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلَى مَنْ لَّا نَبِيَّ بَعْدَهُ
উচ্চারণ : আলহামদুল্লিাহি ওয়াহদাহু ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা মান লা নাবিয়্যা বাদাহু।

সম্ভব হলে দোয়া করার আগে দু রাকাআত নামাজ পড়ে দোয়া করা। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি তা বর্ণনা করেন। এক বর্ণনায় এসেছে-

‘মানুষ কোনো গোনাহ করার পর উত্তমভাবে ওজু করে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন।’ (আবু দাউদ)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর প্রশংসা ও বিশ্বনবির ওপর দরূদ পাঠ করে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। সম্ভব হলে দোয়ার আগে দুই রাকাআত নামাজ পড়ে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official