ওয়াজ-মাহফিল ও ধর্মীয় সভার ওপর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে বরিশালের চরমোনাই দরবার শরিফে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল।
তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার মাহফিলের নিয়মে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহফিল সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার জোহরের নামাজের পর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের সূচনা করেন চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। উদ্বোধনী বয়ানে পীর রেজাউল করীম বলেন, চরমোনাইয়ের বার্ষিক মাহফিলে এসে দুনিয়ার কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের সুযোগ নেই। এখানে শুধুমাত্র আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য সঠিক পথ দেখানো হয়।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, কেউ যদি দুনিয়ার উদ্দেশ্য হাসিলের নিয়তে চরমোনাইতে এসে থাকেন তবে তাকে নিয়ত পরিবর্তন করতে হবে এবং মাহফিলের আলোচনা শুনে সে অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করতে হবে।
চরমোনাই মাদরাসার অধ্যক্ষ পীরের বড় ভাই সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি বলেন, প্রতি বছর দুটি বার্ষিক মাহফিলের দ্বিতীয় দিন ওলামা মাশায়েখ মহাসমাবেশ এবং তৃতীয় দিন ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এবার যেহেতু একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাই নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলার স্বার্থে ওলামা মাশায়েখ মহাসমাবেশ ও ছাত্র আন্দোলনের মহাসমাবেশ বাতিল করা হয়েছে। এবার তিনদিনের মাহফিলে ধর্মীয় আলোচনার বাইরে রাজনৈতিক আলোচনা করা হবে না।
মাহফিলের মিডিয়া সমন্বয়ক কেএম শরীয়তউল্লাহ বলেন, মাহফিলে লাখ লাখ মুসুল্লির সমাগম ঘটেছে। মাহফিলকে কেন্দ্র করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতাল করা হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসায় সেখানে ৪০ জন ডাক্তার রয়েছেন। মাহফিলের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিজস্ব প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। আগামী ২৯ নভেম্বর সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শেষ হবে।