এপ্রিল ২২, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় নির্বাচন প্রচ্ছদ বরিশাল

ভোলা-১ আসনে পার্থকে ছাড় দিতে নারাজ বিএনপি

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোলা -১ আসনে সদর উপজেলায় এবার বিজেপিকে ছাড় দিতে নারাজ বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই ভালো সময় কাটছে না বিএনপি জোটের এ দুই দলের মধ্যে। সে জন্যই এখন দুই দলই দুদিক থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে বিএনপির যতটা প্রচার-প্রচারণা দেখা যাচ্ছে ততটা বিজেপির দেখা যাচ্ছে না। দুই দলই মনোনয়ন নিয়ে জোটের পক্ষে চাঙা মনোভাব পোষণ করেছে। কর্মীবিহীন বিজেপি ভাবছে তারা বিএনপি নির্ভর হলেও জোটের কারণে তাদের প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে এ আসন থেকে।

 তবে এ আসন এ বছর যদি আবারো জোটকে দেওয়া হয় তাহলে সদর উপজেলা বিএনপি অস্তিত্বসংকটে পড়বে। এর প্রভাব ভোলা বিএনপির সদর উপজেলাসহ চারটি আসনেও পড়বে।

ভোলা ১ আসনে ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে মোট চারবার জয়ের মালা ছিনিয়ে নেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। জীবনের সাতবারের মধ্যে চারবারই ভোলা সদর উপজেলা আসনে তিনি নির্বাচিত হন। এখনো তিনি এ আসনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তার সমকক্ষ, সমতুল্য কেউ নেই এখানে।

১৯৭৯ ও ২০০১ সালে বিএনপির মোশারেফ হোসেন শাজাহান ও ৮৬ সালে নাজিউর রহমান মঞ্জু বিজয়ী হন। তারপরে ২০০৮ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে এ আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। তারপর থেকেই দ্বন্দ্ব দেখা যায় বিজেপি ও বিএনপির মধ্যে। কারণটা হলো মূল্যায়ন নিয়ে। পার্থ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পাল্টে ফেলেন রূপ। বিএনপির নেতাকর্মীদের দিনের পর দিন লাঞ্চিত হতে হয় বিজেপির হাতে। দেখা দেয় তীব্র মতবিরোধ। তাদের মধ্যে এখন দা-কুমড়া সম্পর্ক বিরাজমান। তবে বিজেপির অর্ধেকের বেশি সিনিয়র নেতা ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ফেলেছেন। এ নিয়ে খুব বেকায়দায় আছে বিজেপি। এদিকে বিজেপির নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও তারা আবার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন অনেকই। এর কারণ হিসেবে এখন বিএনপির একাংশের নেতারা কারাগারে ও অন্যাংশের নেতারা ‘এসি রুমে বসে আছেন’ বলে শোনা যাচ্ছে।

স্থানীয় বিএনপিকর্মীরা বলেন, এবারো বিজেপিকে এ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হলে প্রয়োজনে আমরা আওয়ামী লীগ করব, তবুও বিজেপি করব না। এ নিয়ে পাড়ায় মহল্লায় দফায় দফায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বৈঠকে এমন সিদ্বান্ত আসছে বলে জানা যায়।

জেলা বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন, সদর আসনে বিএনপির অনেক নেতা আছেন ক্লিন ইমেজের বিজেপির নেতার চেয়েও ভালো করবেন। তাদেরকে মনোনয়ন দিলেও ভালো করবে নির্বাচনে, তাহলে জোট কেন? তবে একাদশ নির্বাচনেও ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ আবারো এ আসন থেকে নির্বাচন করতে জোট থেকে মনোনয়ন পাবেন এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

অপরদিকে বিএনপি থেকে মনোনায়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও ভোলা পৌরসভার সাবেক তিনবারের মেয়র গোলাম নবী আলমগীর। এ আসনে তার আপন বড় ভাই সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজাহান এমপি ছিলেন। তিনি ছিলেন দক্ষিণ অঞ্চলের বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে।

অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন, ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official