জয়পুরহাট-১ আসনেও (সদর ও পাঁচবিবি) কৌশলগত কারণে দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।গতকাল সোমবার তাঁদের এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফয়সল আলীম।
ফয়সল আলীম সাবেক মন্ত্রী বিএনপি নেতা আবদুল আলীমের বড় ছেলে। আবদুল আলীমকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাভোগ করার সময় মারা যান। জয়পুরহাট-১ আসনে তিনি বিএনপি থেকে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মন্ত্রী ছিলেন।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান জেলার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাজা সামছুল আলমকে ৩৪ হাজার ২৯২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তবে ২০১৪ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামছুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হন। মোজাহার আলী গত ৫ জানুয়ারি মারা যান।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফজলুর রহমান বলেন, তিনি ও ফয়সল এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ সামছুল আলম।
জয়পুরহাট-২ : জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল) আসনে দুই সাবেক সাংসদকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তাঁরা হলেন জয়পুরহাট জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা ও আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান।
২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ। বিএনপির প্রার্থী ছিলেন গোলাম মোস্তফা। নির্বাচনে আবু সাঈদ পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৭২১ ভোট। গোলাম মোস্তফা ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮১ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। আবু সাঈদ আল মাহমুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সাংসদ ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীরা অনেক আগে থেকেই মাঠে কাজ করছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওবায়দুর রহমান চন্দন বলেন, ‘আমি নিজেও জয়পুরহাট-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দলের সাবেক দুই সাংসদ গোলাম মোস্তফা ও আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমানের নামে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে চূড়ান্ত করবে দল।
গোলাম মোস্তফা বলেন, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে এখানে বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ নির্বাচিত হন। এবার অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হবেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, ‘সাংসদ নির্বাচিত হয়ে আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল উপজেলায় দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছি। টিআর ও কাবিখার শত ভাগ কাজ করেছি। গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাইনি। আশা করছি, এবার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।