দুর্দান্ত জয়ে জয়ের ধারায় ফিরল টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট রংপুর রাইডার্স। ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন গেইল-ম্যাককালাম।
এরপর বোলিংয়ে নেমে সিলেট সিক্সার্স ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে রংপুরের বোলাররা। রংপুরের ১৬৯ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ১৬২ রানেই থামল সিলেট। দুর্দান্ত টিম পারফর্মেন্সে টানা তিন ম্যাচ হারের পর ৭ রানে নাসির হোসেনের সিলেট সিক্সার্সকে হারিয়ে রাজসিক প্রত্যাবর্তন ঘটল মাশরাফি বাহিনীর।
১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। সোহাগ গাজীর বলে বোল্ড হয়ে যান ৪ বলে ৮ রান করা গুনাথিলাকা। সিলেট শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ম্যাশের বলে রবি বোপারার তালুবন্দি হন ২ রান করা বাবর আজম। এরপরেই দলের হাল ধরেই অধিনায়ক নাসির হোসেন এবং সাব্বির রহমান।
দুজনের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিলেন সাব্বির।
চলতি বিপিএলে ফর্ম ফিরে পাওয়া জাতীয় দলের এই তরুণ ৪৯ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে পেরেরার বলে ম্যককালামের তালুবন্দি হন। ভাঙে ১১৭ রানের বিশাল জুটি। তখন জয় থেকে মাত্র ২৮ রান দূরে সিলেট সিক্সার্স। এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাসির। কিন্তু সেটা কোনো কাজে আসেনি। ৪৩ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ৫০ রান করে মাঠ ছাড়েন নাসির।
আজ সোমবার দিনের দ্বিতীয় খেলায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান তুলে রংপুর রাইডার্স। ওপেন করতে নেমেই সিলেট বোলারদের বেদম প্রহার শুরু করেন গেইল-ম্যাককালাম। ৮.৩ ওভারে দুজনে মিলে গড়েন ৮০ রানের ওপেনিং জুটি। শেষ পর্যন্ত নাসির হোসেনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে প্ল্যাংকেটের তালুবন্দি হন ২১ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করা ম্যাককালাম। অপর প্রান্তে থাকা গেইল ঠিকই ৩৮ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
আবুল হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ৩৯ বলে ২ চার ৫ ছক্কায় ৫০ রান। এই দুজনের বিদায়ের পরই খেই হারিয়ে ফেলে রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। আবুল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৮ রান করেন শাহরিয়ার নাফীস। ২৫ রান করে প্ল্যাংকেটের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান মোহাম্মদ মিথুন। শেষদিকে রবি বোপারার দৃঢ়তায় রানের চাকা ঘুরতে থাকে। বোপারাও ১২ বলে ২৮ রান করে রান-আউট হয়ে যান।