তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের ওপর কাল বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
শুনানি নিয়ে ১ নভেম্বর হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর শহিদুল আলমের আইনজীবীরা আবেদনটি ওই বেঞ্চে উপস্থাপন করেন, যা আজ বেলা দুইটায় শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ। পরে মো. আলী জিন্নাহ বলেন, অ্যার্টনি জেনারেল শুনানি করবেন। তিনি অসুস্থ থাকায় এক দিন সময় চাওয়া হয়। আদালত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।
ওই মামলায় শহিদুল আলমের জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর এখন শুনানি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত। এর আগে গত ৫ আগস্ট রাতে তাঁকে ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয় ডিবি। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ওই মামলায় ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ শহিদুল আলমের জামিন নাকচ করেন। পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।