বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর প্রবেশ পথসহ সাভারের বিভিন্ন মাহসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় তল্লাশীর কথা বলে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়িগুলো আটকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এছাড়াও বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে যানবাহন ভাড়া না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিবহন মালিকদেরকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে সমাবেশে আসার পথে সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৮ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে অধিকাংশই নাশকতা মামলার আসামি। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন আশঙ্কায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের সমাবেশকে পণ্ড করতে পুলিশি বাধার বিষয়ে অভিযোগ করলেও পুলিশের দাবি বাঁধা দেওয়ার জন্য নয় নিরাপত্তার জন্যই সাভারের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী চালানো হচ্ছে।
এদিকে নিরাপত্তার জন্য রাজধানীর প্রবেশদ্বার আমিনবাজার এলাকায় তল্লাশী চালানোর কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের দীর্ঘ জানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে অনেককেই আবার পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকা জেলা বিএপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সমাবেশে যাওয়ার জন্য তিনি তার নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল দশটার দিকে সাভার থেকে রওনা দেন। পরে সাড়ে দশটার দিকে আমিনবাজার এলাকায় এসে পৌঁছালে সেখানে থাকা পুলিশের একটি চেকপোষ্ট তাদের ১৩টি গাড়ী বহর আটকে দেয়।
পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, যুবদল নেতা রকিব দেওয়ান ও আলমগীরসহ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীরা যেন উপিস্থত না হতে পারে সেজন্য সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশ পথ ও সাভারের বিভিন্ন মহাসড়কে চেক পোষ্ট বসিয়ে তল্লাশীর নামে বিএনপির গাড়ী বহর আটকে দিচ্ছে পুলিশ। সমাবেশে লোক সমাগম বাধাগ্রস্থ করতে তাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ। এ কারণে বাধ্য হয়ে কৌশল অবলম্বন করে সাধারণ বাসে যাত্রীবেশেই তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়েছে।
এদিকে নাশকতা করতে পারে এমন আশঙ্কায় ধামরাই থেকে দুই জন, আশুলিয়া থেকে সাতজন ও সাভার থেকে নয়জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান বিএনপির এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য ২ ঘণ্টা পুলিশ চেক পোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী চালানো হচ্ছে। এছাড়াও বিএনপির গাড়ি বহর আটকে দেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন আমাদের টারগেট হলো রেজিষ্টশন বিহীন মটরসাইকেল। এছাড়া নাশকতা এড়াতে বেশি নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে ।