সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমার সমালোচনা করে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেছেন, চাকরি না পাওয়ার কারণে তারা তাদের প্রেমিকাকে হারাচ্ছেন। যাদের সঙ্গে তাদের বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল সেই বিয়েও ভেঙে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নগর ভবনে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সমাবেশে তরুণদের চোখে-মুখে গভীর হতাশা, বেদনার ছাপ দেখেছি। তারা কোথায় যাবেন? তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করবেন না। পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর মায়ের কাছে টাকা চাইতে পারে না। বেকার বলে বন্ধু-বান্ধবদের মুখ দেখাতে পারেন না। চাকরি না পাওয়ায় তরুণরা তাদের প্রেমিকাকে হারাচ্ছেন।
সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষিত বেকার তরুণরা যাবে কোথায়? জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাহেব গত ২০ নভেম্বর সংসদে বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে নাকি বাড়ানো যাবে না। কেন জানতে চাই। ৩০ বছর বয়সীদের হতাশা আমি দেখেছি, ৩০ এর বেশি বয়সীদের বেদনা আপনি দেখেছেন? সরকারি চাকরিতে বয়সের বেড়াজালে তরুণরা চাকরি পাচ্ছেন না।
এ সময় শেখ হাসিনার ডিজিটাল সরকারের আমলে প্রেমিকা হারানো বা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার মতো ব্যাপার চলতে দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, কী কারণে তরুণ সমাজ শিক্ষা শেষে পরিবার, সমাজ ও দেশের সম্পদ হওয়ার পরিবর্তে বোঝা হয়ে পড়ছে; এ কথা আপনাকে বলতে হবে। আমাদের আইনের মারপ্যাঁচে সীমাবদ্ধ সুযোগের কাছে পরাজিত হচ্ছে তরুণরা।
তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে, এ বুলি আউড়িয়ে আইনকে যুগোপযোগী রাখার জন্য সময় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংশোধন ও বিয়োজন করার প্রয়োজন পরে। সময়ের আলোকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা এমন একটি আইন যা পরিবর্তনের মাধ্যমে ৩০ থেকে বাড়াতে হবে। কথা পরিষ্কার।
নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে ওমর ফারুক বলেন, এটাতো পরিষ্কার ২৩ বছরের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সমীকরণটি শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। তার প্রমাণ ২৭-২৮ বছরের আগে কোনো ছাত্রের শিক্ষা জীবন শেষ হয় না।