সিফাত
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক প্রায় তিন বছর আগেই চার লেনে উন্নত করার কাজ সমাপ্ত হয়। এবং তারপর থেকেই তা যান চলাচলের উপযোগী হয়। কিন্তু প্রধান মহাসড়কের দুই পাশে তৈরিকৃত রাস্তা আজও ব্যাবহৃত হচ্ছে না। প্রাধন মহাসড়কেই চলছে ব্যাটারিচালিত অটো থেকে রিক্রা,ভ্যান,আলফার মতো মহাসড়কে চালাচলের জন্য অবৈধ সকল যানবাহন। কিন্তু মহাসড়কে দু পাশে, লেনের পরেই পড়ে আছে খালি রাস্তা। শুধুমাত্র দু-একজন পথচারী বাদে সেই পথ ব্যাবহারও করছে না কেউ। মাঝে মাঝে মহাসড়কের দুই পাশে নব নির্মিত রাস্তায় দু-একটি যানবাহন দেখা দিলেও তা আবার চলছে উল্টো পথে। মহাসড়কে এভাবে হালকা সকল অবৈধ যান চলাচল প্রতিরোধে প্রশাসনে পদক্ষেপ গুলোও খুব বেশি জোরদার ছিল না। যদিও প্রশাসন কয়েকবার মহাসড়কের পাশে তৈরিকৃত রাস্তা যাতে ব্যবহার হয় এবং প্রধান মহাসড়কে কোনো হালকা যানবাহন না চলে সেই জন্য নানা প্রকার পদক্ষেপ পূর্বে গ্রহন করেছে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে চলেনি বলে আজও সড়ক তৈরির তিন বছর পরেও তা অব্যাবহৃত হয়ে পড়ে আছে। সড়কে কোনো যাননবাহন চলাচল না করায় ফয়দা লুটছে দখলদাররা, কেউ কেউ সড়কের অর্ধেক দখল করে চা-ফুচকার দোকান দিচ্ছে, আবার কেউ কউ সড়কের মধ্যেই রাখছে ইট,বালু,পাথর সহ নানা জিনিস। সেইজন্য কেউ চাইলেও সেই রাস্তায় বর্তমানে চলাচল করতে পারছে না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস,ট্রাক,কার্গোর সাথে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারন সব পরিবহন। যার ফলে প্রায়সই ঘটছে নানা ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তাই সাধারন জনগনের দাবি মহাসড়ক ছেরে যাতে পাশ্ববর্তি সড়ক গুলতে সাধারন যানবাহ চলাচলে যথাযত ব্যাবস্থা অতি শিগ্রই গ্রহন করা হয়।