এপ্রিল ২০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অন্যান্য জাতীয় প্রচ্ছদ রাজণীতি

জাতির মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বের অমূল্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ইতিহাসকে কখনো মুছে ফেলা যায় না। ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও তা মুছে ফেলা যায় না।

মুছে ফেলতে পারে নাই কেউ। আজকে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি জাতির মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।

তিনি আজ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইউনেস্কো কতৃর্ক জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণকে ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্ত করা উপলক্ষ্যে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

প্রায় ৪৬ বছর আগে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালি জাতিকে বাঙালি জাতিস্বত্তার মূলমন্ত্রে আবদ্ধ করার এবং স্বাধীনতার আহ্বান হিসেবে স্বীকৃত তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি শুধু স্বীকৃতিই নয়, প্রতিশোধও বটে। ইতিহাসও প্রতিশোধ নেয়, ইতিহাসও সত্যকে তুলে ধরে। যতই তা মুছতে চেষ্টা করা হোক ইতিহাস তার সত্যিকারের অবস্থানটা অবশ্যই তুলে ধরবে। আজকে সেই স্বীকৃতিই বাংলাদেশ পেয়েছে।

তিনি বলেন, এই স্বীকৃতির মধ্যদিয়ে শুধু এই ভাষণ নয়, সমগ্র বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি, সকল শহীদ, সকল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি সকলেই আজকে বিশ্বদরবারে সন্মানিত হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় যারা একদিন এই ভাষণ বাজাতে বাধা প্রদান করেছে, যারা জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে, আজকে যখন ইউনেস্কো এই ভাষণকে তাঁর ঐতিহাসিক দলিলে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের কি এখন লজ্জা হয় না। তাদের কি এখন এতটুকুও দ্বিধা হয় না।

‘ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর এই সন্মাননা প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত নাগরিক সন্মাণনায় দেশ বরেন্য ব্যাক্তিবর্গসহ লাখো জনতার উপস্থিতিতে এদিনের অনুষ্ঠানস্থল ও তাঁর চারপাশ পূর্ণ হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণকে তাদের ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি রেজিষ্টারে অন্তভ’ক্ত করে।

এমিরেটাস অধ্যাপক আসিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও প্রধান বিয়েট্রিস খলদুন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাসদ সভাপতি এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম, এবং ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং নের্তৃস্থানীয় শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নাগরিক সমাবেশে অংশ নেন।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সমাবেশের স্বতস্ফুর্ত জনসমুদ্রের দিকে ইঙ্গিত করে সূর্যালোকিত আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদিন মেঘে ছেয়ে ছিল আজকে আবার সূর্য নতুনভাবে দেখা দিয়েছে, কাজে এই সূর্যই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official