দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের নির্বাহী কমিটির সর্বোচ্চ পদে থাকা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শনিবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবির পক্ষে সবাই একমত প্রকাশ করেন। বৈঠকে খালেদা জিয়ার বিভাগ ও জেলা সফর নিয়ে আলোচনা হয়।
কোন্দল মিটিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলে যাতে কোনো দুর্বলতা না থাকে সেজন্য এখন থেকে সবাইকে গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
সংগঠনের ভিত মজবুত করতে বিশৃঙ্খলাকারীদের হুশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। দ্রুত ঝুলে থাকা জেলা, থানা ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। সবাইকে এলাকায় গিয়ে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরার পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক ইসু্যতে জনমত তৈরির নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া।
সংগঠন দ্রুত গোছানোর তাগিদ দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তরুণদের জায়গা করে দিতে হবে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের ছাড় দেয়া যাবে না।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- এম মোরশেদ খান, হারুন আল রশিদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আবদুল মান্নান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চেৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মো. নাসিরউদ্দিন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহমুদুল হাসান, ইনাম আহমেদ চেৌধুরী, আমিনুল হক, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও শওকত মাহমুদ। এ ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।