তানজিল শুভ
দুই দিন বয়সের শিশুর হাত থেকে রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করানোর অযুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে এক ব্যক্তিকে ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্বজনরা। রোববার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নবজাতক শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই পরীক্ষা এবং শিশুর হাত থেকে রক্ত নেয়ার বিষয়ে ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সেবিকারা কিছুই জানেন না বলে দাবী করেছেন।
শিশুটির পিতা বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মোশারেফ হোসেন জানান, তার স্ত্রী খাদিজা বেগম বেশ কয়েকদিন পূর্বে বাচ্চা প্রসবের কারনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ২৪ নভেম্বর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তবে তাকে শারিরীক কারনে নবজাতক শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, মায়ের শারিরীক অবস্থা এখনো ভালো না হওয়া শিশুর পাশে তাদের অন্য মহিলা স্বজনরা রয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এক যুবক এসে ওই স্বজনদের হঠাৎ করেই বলে চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা দিয়েছে রক্ত লাগবে। এ কথা শুনে স্বজনরা আমাকে বিষয়টি জানালে সন্তানের কাছ গিয়ে দেখি তার হাতে সিরিন্স ঢুকিয়ে অনেকটা রক্ত নিয়ে নিয়েছে ওই লোক। পরবর্তীতে তাকে এর কারন জানতে চাইলে কোন সদ উত্তর না দিয়ে পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার টাকা দাবী করেন। এরপর কিসের পরীক্ষা জানতে চিকিৎসক ও সেবিকাদের কাছে জানতে গেলে তারাও কিছু জানেন না বলে জানান।
এরপর ওই লোকের পরিচয় জানতে চাইলে সে নিজের নাম সুজন ও ডি ল্যাব নামক ডায়গনষ্টিক সেন্টারের লোক বলে দাবী করে। ডি ল্যাবের একটি কাগজও দেখায় সে। কিন্তু পরীক্ষার-নিরীক্ষার বিষয়ে কোন সদউত্তর বা চিকিৎসকের পরামর্শপত্র দিতে না পারলে অণ্য রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই মামুন জানান, তারা ডি ল্যাবের পরিচয়দানকারী সুজন নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করেছেন। সে মুলত রোগীর দালাল। আর ভুক্তভোগী শিশুর বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।