লেবাননের সরকার বিরোধী বিক্ষোভের লাইভ নিউজ প্রচার করছিলেন ‘স্কাই নিউজ আরাবিয়া’ চ্যানেলের এক রিপোর্টার। এসময় এক বিক্ষোভকারী টুক করে ওই রিপোর্টারের গালে চুমু খান। এতে খুব রেগে যান ওই রিপোর্টার। তবে ওই ব্যক্তি নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করায় তার রাগ কমেছে বলে জানা গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজ জানায়, গত সোমবার লেবাননের রিয়াদ সোলোহ স্কয়ার থেকে বিক্ষোভের সংবাদ সরাসরি প্রচার করছিলেন সে দেশের জনপ্রিয় রিপোর্টার তারিনে এল হেলউই। এসময় এক পুরুষ বিক্ষোভকারী হঠাৎ তার গালে চুমু খান।
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে খানিকটা ঘাবড়ে গেলেও কৌশলের সঙ্গে দ্রুত তিনি ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, চুমুর ঘটনায় ওই নারী রিপোর্টার কয়েক সেকেন্ডের জন্য থমকে যান। পরে বিব্রতভঙ্গীতে হেসে সংবাদ লাইভ করার কাজে মনোযোগ দেন।
এই ভিডিও ইতিমধ্যে লেবাননের সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে ‘নিষ্পাপ’ ও ‘মজার’ বলে উল্লেখ করলেও বেশিরভাগই এতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আবার এই চুমুর ঘটনাকে হয়রানি হিসাবেও দেখছেন।
লেবাননের বিখ্যাত টিভি উপস্থাপক নেশান নিজের টুইটারে ভিডিওটি আপ করেছেন। আর সেখানে তিনি একে ‘বিপ্লবী চুম্বন’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তার এই টুইট পরে রিটুইট করেন মানবাধিকার কর্মী জর্জ আজ্জি। যদিও উপস্থাপক নেশানের মতো তিনি এই চুমুর মধ্যে মজার কিছু দেখতে পাননি।
এ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন রিপোর্টার তারিনে-ও। তার মতে, এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
এ সম্পর্কে গালফ নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি তখন বিক্ষোভের লাইভ নিউজ প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। তাই আমি তাকে দেখতে পাইনি। আমি একজন প্রফেশনাল সাংবাদিক। তাই ওই ঘটনার পরও লাইভ চালিয়ে গেছি। যদিও তখন আমার গলা কাঁপছিলো। নিজেকে স্থির রাখতে আমি ক্যামেরার দিকে তাকিয়েছিলাম। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।’
ইতিমধ্যে রিপোর্টারকে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য ফেসবুকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওই বিক্ষোভকারী। এতে তারিনের রাগ কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, লেবাননে সরকার পতনের দাবিতে গত ১৭ অক্টোবর থেকে দেশ জুড়ে চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো এই বিক্ষোভের ওপর নিয়মিত সংবাদ প্রচার করছে। আর নিউজ সংগ্রহ করার সময় বিক্ষোভকারীদের প্রায়ই বিভিন্ন টিভি রিপোর্টারদের সঙ্গে সেলফি ও ভিডিও তুলতে দেখা যায়।