‘ফখরুল সাহেব আজ এখানে আসার কথা ছিল, কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তিনি এলেন না। তিনি এলে ভালো হতো।
দু’জনে আমরা একসঙ্গে থাকতাম, একসঙ্গে ঘুরতাম। ‘ রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হিন্দুদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা-ভাংচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এমন মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় হিন্দুদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা-ভাংচুর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। নাসিরনগর ও রামুর ঘটনার ধারাবাহিকতায় রংপুরে হামলা হয়েছে।
হামলাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের কাঠগড়ায় আনা হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যারা গোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে তাদের আশা পূরণ হবে না।
উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রবিবার ঠাকুরপাড়ায় যাওয়ার কথা থাকলেও শনিবার রাতে তা স্থগিত করা হয়।
রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু শনিবার রাতে জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোববার আসছেন, তাই বিএনপি মহাসচিবের ঠাকুরপাড়ায় আসার কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে ওবায়দুল কাদের ঘর পুড়ে যাওয়া নয় পরিবারের প্রত্যেকটিকে ২৫ হাজার টাকা, ভাংচুর হওয়া সাত পরিবারের প্রত্যেকটিকে ১০ হাজার টাকা এবং মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিএম মোম্মেল হক এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।