নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে বরিশালের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ তোলা হয়েছে নগরীর নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন কোচিংয়ের নামে অথবা বিভিন্ন খাত দেখিয়ে জোড় পূর্বক অগ্রীম অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এবার শিক্ষা মন্ত্রানালয় নির্ধারিত শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি এর বাইরে অতিরিক্ত ফি কোনক্রমেই নেওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। জনপ্রতি বোর্ডের নির্ধারিত ফিঃ ১) মানবিকঃ নিয়মিত- ১৬৩০ টাকা, অনিয়মিত-১৭৩০ টাকা। ২) বিজ্ঞানঃ নিয়মিত-১৭২০ টাকা, অনিয়মিতঃ ১৮২০ টাকা। ৩) ব্যবসায় শিক্ষাঃ নিয়মিত- ১৬৩০ টাকা, অনিয়মিত- ১৭৩০ টাকা। এছাড়া ব্যবহারিক ফি বাবদ ২৫ টাকা আদায় করা যাবে বলা হলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তার উল্টো চিত্র। বরিশালে বিভিন্ন স্কুলে কোচিংয়ের অযুহাত দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে স্কুলগুলো, কোন কোন স্কুলে নোটিশ দিয়ে আবার কোথাও নোটিশ ছাড়াই আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত এ অর্থ। নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোচিংয়ের দোহাই দিয়ে অগ্রিম টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন কোচিং ফি বা বিশেষ ক্লাস এর নাম করে মাসিক ফি ১০০০ টাকা করে সর্বোমোট ২০০০ টাকা এবং বোর্ড ফি সহ বিজ্ঞান বিভাগ-৩৭৪৫ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ৩৬৫৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। আর এই টাকা আদায় করা হচ্ছে বোর্ড ফি এর সঙ্গে। কোচিং ফি না দিলে ফর্ম ফিলাপ করতে দিচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনটা জানিয়েছেন অনেকেই। এবং রসিদ চাইলে তা দিতেও নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা জানায় তাদের দ্বারা জোড়পূর্বক অতিরিক্ত ক্লাস অর্থ্যাৎ কোচিংয়ের জন্য আবেদন করিয়ে কোচিং চালু করা হয়। আইনি বাধা পেরোনোর জন্য এমন অভিনব কৌশল করেছে নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় বলে দাবী করেন তারা। অভিভাবকরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন প্রতি বছর স্কুল কর্তৃপক্ষ নানা কৌশলে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন, এতে তাদেরকে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বাড়তি ফি আদায় নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ হয়নি উক্ত বিদ্যালয়ে। এবিষয়ে জানতে চেয়ে নুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমরা সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোনো টাকা নিচ্ছি না। কোচিং বা বিশেষ ক্লাসের নামকরে টাকা নেয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের নীতিমালায় বলা হয়েছে, দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল সময়ের বাইরে বা সময় থাকলে স্কুলের সময়ের মধ্যেই বিশেষ ক্লাস নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ইউনুস জানান, কোন প্রতিষ্ঠান যদি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করে এবং অভিযোগ প্রমানিত হয় তবে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।