বানারীপাড়ায় ফার্মাসিউটিকাল এসোসিয়েশন(ফারিয়া) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা পুড়িয়ে চরম ঔদ্ব্যত্ব প্রদর্শন করেছে। ইত্তেফাকে চট্রগ্রামের একটি সংবাদে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দালাল লেখায় ক্ষিপ্ত হয়ে সারা দেশে ফার্মাসিউটিকাল এসোসিয়েশন (ফারিয়া)’র উদ্যোগে ইত্তেফাক পত্রিকায় অগ্নিসংযোগের সিন্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে তারা পত্রিকায় অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবাদ করে। এসময় উপজেলা ফার্মাসিউটিকাল এসোসিয়েশন (ফারিয়া)’র সভাপতি এম এ দুলাল, সহ-সভাপতি জালিস মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দীন পাইক, কোষাধ্যক্ষ মীর মাহাতাব, বিভাগীয় সমন্বয়ক মীর নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ সুমন, সদস্য মো. তারিকুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে যথাযথ নিয়মে সংবাদের প্রতিবাদ না করে হত্যা মামলার আসামীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র, ইতিহাস- ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় অগ্নি সংযোগের ঘটনায় বানারীপাড়ার সাংবাদিক সহ সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, কেএম শফিকুল আলম জুয়েল ও সুজন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস শেখ ও মোঘল সুমন সাফকাত, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিন খালাসী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক শাহিন, কোষাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম বেল্লাল, দপ্তর সম্পাদক মাইদুল ইসলাম শফিক, নির্বাহী সদস্য এস এম গোলাম মাহমুদ রিপন ও সাইদুল ইসলাম, বানারীপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সজল চৌধুরী প্রমূখ। প্রসঙ্গত উপজেলা ফার্মাসিউটিকাল এসোসিয়েশন(ফারিয়া) সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য এম এ দুলাল মাদারকাঠি গ্রামের জামাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। ওই হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে রিমান্ড শেষে সে দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিলেন। এদিকে পত্রিকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্থাণীয় সাংবাদিকগণ জানান।