চলতি বছরের মার্চের ২ তারিখে মহা ধুমধাম করে অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। অবশ্য আইনি বিয়েটা ১৪ ফেব্রুয়ারি সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। তবে বিয়ের ৯ মাস পূর্তির আগেই জীবনের সেরা উপহার পেয়েছেন এই তারকা দম্পতি।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শ্রীময়ী।
মেয়ের বয়স সবে তিন দিন! এখনও মেয়েকে নিয়ে শ্রীময়ীর ঠিকানা ভাগীরথী নেউটিয়া হাসপাতালের কক্ষ। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল এখনও খোলা হয়নি। কিন্তু সব যন্ত্রণা মেয়ের হাসি মুখ দেখে সইছেন শ্রীময়ী। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই মা হলেন তিনি।
তবে আইনি বিয়ের মাত্র সাড়ে ৮ মাস যেতে না যেতেই অভিনেত্রীর মা হওয়ার খবর নিয়ে শুরু করেছে নানান কাটাছেঁড়া।
যদিও শ্রীময়ী-কাঞ্চনের বিয়ের তারিখ আর সন্তানের জন্মের তারিখ নিয়ে অঙ্ক কষতে শুরু করেছে নেট দুনিয়ায়। শিশু কন্যাকে ঘিরে কটাক্ষ-ট্রোলিং চলছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে সেইসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন শ্রীময়ী।
তিনি বলেন, আমার জীবনের সবটাই খোলা খাতার মতো। যখন যেটা হয়েছে সব জানিয়েছি। এখন শুধু মেয়েটাকে নিয়ে ভালোভাবে বড় করতে চাই।
এদিকে ব্যক্তিগত জীবনটা আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন কাঞ্চন। বরের আর পরিবারের বড়দের কথা মেনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর গোপনে রেখেছিলেন শ্রীময়ী। তার কথায়, সাত মাস পর্যন্ত শুটিং করেছেন তিনি। কাউকে টেরও পেতে দেননি প্রেগন্যান্সির বিষয়ে। মা হওয়ার পর কতখানি বদলেছে শ্রীময়ীর জীবন? তার কথায়, মেয়ের ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে এখন আস্তে আস্তে কথা বলেন। আর সারাক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে মেয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। তিনি বললেন, ‘মনে হচ্ছে চোখের সামনে একটা তুলোর পুতুল শুয়ে আছে’।
মেয়েকে প্রথমবার কোলে নেওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রীময়ী বললেন, আমি ওকে হাত নেড়ে হ্যালো বলেছি।
বউয়ের এই কীর্তি দেখে হেসেখুন কাঞ্চন। তিনি জানান, আরে তুই ওর মা রে। হ্যালো বলছিস কী! বউয়ের সঙ্গে সারাক্ষণ কেবিনেই রয়েছেন কাঞ্চন। আর বাবার গলা শুনলেই গোল গোল চোখ করে তাকাচ্ছে মেয়ে।
শ্রীয়মী আরও জানিয়েছেন, গত শনিবার চিকিৎসকের কাছে চেকআপের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক।
বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ্যে এনে গত রোববার সামাজিক মাধ্যমে শ্রীময়ী লেখেন, এটা লম্বা একটা সফর, টানা ৯ মাসের জার্নি। বহু আবেগঘন মুহূর্ত রয়েছে। শারীরিক দিক থেকেও ওঠাপড়া লেগে থেকেছে। আমার মধ্যে এক ছোট্ট প্রাণ নড়েচড়ে উঠত। এই অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।
‘অবশেষে সেই অপেক্ষা শেষ, আমার পরী এখন আমার সামনে, ওকে নিজের চোখে দেখার পরে বুঝেছি, সেই সব যন্ত্রণা, আবেগের ওঠাপড়া এই আনন্দের কাছে কিছুই না’।