রুপন কর অজিত// বরিশালে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।তবে ১৫ নভেম্বরের পর থেকে সারা দেশে শীতের আমেজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত শনিবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, নভেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকেই সারা দেশে শীতের আবহাওয়া বিরাজ করবে।
বরিশালে এ সময়ে দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও রাত থেকেই শুরু হয় হালকা ঠান্ডা ও কুয়াশা পড়া। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
হালকা কুয়াশা দেখা যায়। সকাল অবধি থাকে এই কুয়াশা। রাত ও ভোরের এই কুয়াশা পথঘাটে দৃষ্টিসীমা হরণ করছে। ঘাস এবং ফসলের ডোগায় জমছে শিশির বিন্দু।
বরিশালের মার্কেট গুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়।নগরীর কালেকট্রি পাড়,মহসীন মার্কেট ও বহুমুখী সিটি মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতন।সরেজমিন বরিশালের কয়েকটি ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের প্রায় সব দোকানে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।মানভেদে বড়দের এক একটি সোয়েটার
১৫০ থেকে ৪৫০, ছোটদের ১০০ থেকে ২০০, জ্যাকেট ৪০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতের আগমনি বার্তায় লেপ তৈরির দোকান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। আর ব্যস্ত হয়ে উঠেছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরা।
সরেজমিন নগরীত ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ী সহ লেপ তৈরির কারিগরদের নিজেদের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর সাধারণ মানুষ তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তোষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ৩০ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সাদা তুলা ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে দাম চলছে।
এছাড়া নগরীর অলিতে-গলিতে শীতকালীন বিভিন্ন পিঠার দোকানও জমজমাট হয়ে উঠেছে।নগরীর বাজার রোড, বিবির পুকুর পাড়, শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে, লঞ্চঘাট, সদর রোড, রূপাতলী বাস টার্মিনাল, বিএম কলেজের সামনে, চৌমাথা, বটতলাসহ বরিশালের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, অলিগলির মুখে এই পিঠার দোকান দেখা যায়।পিঠা ব্যবসায়ীদের কাছে দেখা গেছে সাজের পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠার সমারোহ।চিতই পিঠা ও সাজের পিঠার সাথে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করা হয়।এসব দোকানে প্রতি পিস পিঠা ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বেশি একটা পুঁজি লাগে না বলে সহজেই এ ব্যবসা শুরু করেন বলে জানান অনেকেই।
তবে দাম একটু বেশি হলেও নগরীর কাঁচাবাজার গুলোতেও দেখা মিলছে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজির। নগরীর নথুল্লাবাদ,নতুন বাজার,বাজার রোড,বটতলা বাজার,চৌমাথা বাজার ও রুপাতলি বাজারে গিয়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি,লালশাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো,গাজর, ধনিয়াপাতা দেখা যায়।ক্রেতারা বলেছেন আগের থেকে দাম তুলনামূলক বেশি।আর বিক্রেতার বলছেন আমদানি ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি।