শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদের এ কি অমানবিক কান্ড। একটি গরু হাসপাতাল চত্তরে প্রবেশ করায় রাতভর আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতনে মারা গেলো দরিদ্র স্থানীয় হানিফ ফকির (নয়ন)’র ভরন্ত গাভী গরুটি । এ নিয়ে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।
নয়ন জানায়, গত ৭দিন পূর্বে মেডিকেল কলেজের চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী নয়নের গাভী গরুটি হাসপাতাল চত্তরে প্রবেশ করে। এ সময় হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ গরুটিকে ধরে নিয়ে হাসপাতালের পরিত্যক্ত একটি রুমে রাত ভর আটকে রেখে মারধর করে। নয়ন গরুটি আনার জন্য হাসপাতালে গেলে আবুল কালাম আজাদ পরের দিন গরুটি দেয়। পরে ১৭ নভেম্বর (শনিবার ) দুপুর আড়াইটায় গরুটি মারা যায়।
ভূক্তভোগী নয়ন আরো জানায় গরুটি ৬ মাসের ভরন্ত ছিলো। পেটে আঘাত করার কারনে মারা গেছে। তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে গরুটি হাসপাতাল চত্তরে প্রবেশ করলে পরিচালক বাকীর হোসেন স্যার আমাকে কান ধরিয়ে উঠবস করায়। সেই ভয়তে পূনরায় কালামের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবনা। তাছাড়া আমিও মেডিকেল কলেজের একজন সরকারী কর্মচারী।
এ ব্যাপারে কালামের মোবাইল ফোনে ফোন করলে বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, পরিচালকের নির্দেশে কর্মচারি মামুন গরুটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার খাস গল্প শুনতে পারবো না। যা বলার অফিসে এসে বলবেন এবং তিনি আরো বলেন গরুটিকে মেরে ফেলেছে ভালো করেছে।