রুপন কর অজিত// সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে কিছু পণ্যের দামও কমেছে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বরিশালের বিভিন্ন বাজার ঘুরে সরজমিনে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
বাজারে মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে।
প্যাকেট আটায় ৪ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দায় দাম ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায়, খোলা আটা ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।
লিটার প্রতি ১২ টাকা বেড়ে বোতল সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। যদিও বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দামে।
থেমে নেই ডালের দামও। খোলা বাজারে মসুর ডালের কেজি মানভেদে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলার প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে কমেছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ – ১২০ টাকায়।বটতলার ডিম ব্যবসায়ী জাহিদ বলেন,লাল ডিমের দাম একটু কমেছে তবে মহল্লার দোকান গুলোতে আগের দামই রাখছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সিম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল ৭০, করলা ৮০, বেগুন ৭৫, লতির কেজি ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকার ভেদে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা।চাল কুমার, লাউ আকার ভেদে ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী রফিকুল বলেন,শীত কালিন সকল সবজি এখন পাওয়া যাচ্ছে। দামে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমদানি ও পরিবহন খরচ বেশি তাই দাম তুলনামূলক একটু বেশি।
দাম কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, যা সপ্তাহ খানেক আগে ৬০ টাকা ছিল। আমদানি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মুরগির দাম কিছুটা কমেছে বাজারে।ব্রয়লার মুরগি ১৬০,সোনালি ৩০০ আর লেয়ার ২৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ ও প্রতি কেজি খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার রোডের কয়েকজন ক্রেতা জানান, সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। মধ্যবিত্তরা ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা খুবই খারাপ। সংসারের খরচ কমাতে কমাতে আর পারছি না। বাজারের যে অবস্থা এখন হয়তো একবেলা না খেয়ে থাকবে হবে।এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ক্রেতারা।