এ.আই. অহিদ (খুলনা জেলা):
’’দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের যৌক্তিক দাবিকে উপেক্ষা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তফসিল ঘোষণা লজ্জ্বা ও দূর্ভাগ্যের বিষয়। তফসিল ঘোষণা দিয়ে সরকার পাতানো নির্বাচনের চক্রান্তে মেতে উঠেছে’’ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খুলনা জেলা ও মহানগর কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
জনসভায় চরমোনাই পীর আরও বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও এদেশে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়, এটা দুঃখজনক। এটা ভাবতেও আমাদের লজ্জা হয়। সব রাজতৈকি দলের নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায় সরকার। নির্বাচনের কাঙ্খতি পরিবেশ তৈরি করতে তিনি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। তিনি বলেন, এ দেশে যখনই কেউ ব্যক্তিগত নীতি-আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে গেছে এই মাটিতেই সে ধ্বংস হয়ে গেছে। শুক্রবার বিকেলের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গত ০৯ নভেম্বর খুলনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের খুলনা মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজাম্মিল হক। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এ জনসভার আয়োজন করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করলেও মানুষের মন জয় করতে পারেনি। মানুষের মনে শান্তি আনায়ন করতে পারেনি। এ কারণে শেখ হাসিনা সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। চরমোনাই পীর এসময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা উন্নয়নের কথা বলেন। যদি উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে সুন্দর পরিবেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও সাধারণ মানুষ তাদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
জনগণকে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাজপথে নামলে তাদেরকে প্রতিহত করা যাবে না। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গত ৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের মাধ্যমে ১০ দফা দাবি পেশ করেছে। গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ দফা বাস্তবায়নে স্মারকলিপি দিয়েছে। এ ১০ দফা মেনে নিলে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আর সংলাপের প্রয়োজন হতো না। জনসভায় সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম খুলনা জেলার ০৬ টি আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। বিভিন্ন দল তাদের প্রার্থী নিয়ে সমস্যায় থাকলেও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ইসলামী আন্দোলন ৩০০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ। বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, নগর সহ-সভাপতি মাওঃ মুজাফ্ফার হোসাইন, জেলা সহ-সভাপতি ও খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওঃ আবু সাঈদ, মাওঃ রেজাউল করীম, নগর সেক্রেটারি মুফতী আমানুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, সৌদি আরব শাখার সেক্রেটারি মাওঃ হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা সজিব, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু গালিব, নগর প্রচার সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওঃ গাজী নূর আহম্ম দ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।