নুরই মাহাবুব
সার্বজনীন শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে আজ ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় জমজম নার্সিং ইন্সটিটিউটের সভাকক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন,বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি জনাব আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর স ম ইমানুল হাকিম,বিশিষ্ট সমাজসেবক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি জনাব মাহমুদুল হক খান মামুন,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বরিশাল আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী সভাপতি ড.বাহাউদ্দিন গোলাপ এবং সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব মনজুর আলম ডালিমি।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জনাব মনিরুল ইসলাম,বাবলু মিয়া,জুয়েল মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম, মো:কবির,লোকমান হোসেন,নজরুল হোসেন এবং আরহাম সাইদ।
বক্তাগন বলেন যে, শিশুর অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার জাতীয় শিশু নীতিমালা ২০১১, শিশু আইন ২০১৩, জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা ২০১০ এবং জাতীয় শিশু শ্রম নিরোধ নীতিমালা ২০১০ প্রনয়নসহ বিভিন্ন প্রশংসণীয় উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে দেশে শিশু শিক্ষার হার বেড়েছে, কমেছে শিশু মৃত্যহার, স্কুলে শারীরিক শাস্তি অবৈধ করা গেছে। তাদের স্কুলে ধরে রাখার জন্য উদ্যোগ দরকার। কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ আছে, আরো ব্যাপকভাবে নিতে হবে।শিশু মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফল। তবে পানিতে ডুবে, দুর্ঘটনায়, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়ে অনেক শিশু অকালে ঝড়ে যাচ্ছে। এ ধরণের শিশুমৃত্যু শিশু সুরক্ষার পথে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেক করে বক্তাগন বলেন, আইনের প্রয়োগ সাথে সাথে হলেই শিশু হত্যার মতো ঘটনাগুলো কমবে। পাশাপাশি শিশু অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা, শিশু আইন বিষয়ে জনগণকে জানানো। রাজন-রাকিবসহ সাম্প্রতিক শিশু হত্যা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হত্যাকারীরা মনে করে, এভাবে হত্যা করলে কিছু হয় না।
এই ধারণাগুলো ভাঙতে হবে। বক্তাগন শিশুদের জন্য পৃথক কমিশন গঠনের সুপারিশ করে বলেন, দেশের ৪৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর (শিশু) দেখাশুনার জন্য মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি মাত্র ডেস্ক আছে। মাঠ পর্যায়ে কোন কর্মকর্তা নেই। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ শিশু। এই বিশাল সংখ্যক শিশুর দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপর। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নারী উন্নয়নে কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য মহিলা অধিদপ্তর থাকলেও শিশুদের জন্য সেরকম কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে শিশুরা যথাযথ মনোযোগ ও গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাই শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর এখন সময়ের দাবি। সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি জনাব সাজ্জাদুল হক।