ফিলিস্তিন ও আল আকসা মসজিদের স্বাধিকারের পক্ষে সোচ্চার সৌদি প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন ফাহাদের নিহত হওয়ার খবর নাকচ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রিন্স আবদুল আজিজ সাবেক সৌদি বাদশাহ ফাহাদের কনিষ্ঠ পুত্র।
সৌদি আরবের তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রিন্স আবদুল আজিজের নিহত হওয়ার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত গুজবের কোনো সত্যতা নেই। তিনি বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রিন্স মনসুর বিন মুকরিন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর প্রিন্স আবদুল আজিজের নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও মাইক্রোব্লগ টুইটারে ‘ডেথ অব প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ’ নামক হ্যাশট্যাগ দিয়ে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর সাবেক স্পেশাল এজেন্ট আল এইচ সৌফান আবদুল আজিজের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
টুইটারে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আবদুল আজিজের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বয়স ছিল ৪৪ বছর। এর আগে সাবেক যুবরাজের পুত্র প্রিন্স মনসুর বিন মুকরিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
গত শনিবার সৌদি যুবরাজ সালমান বিন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে দেশটির ১১ রাজপুত্র প্রিন্স, চারজন বর্তমান মন্ত্রী এবং প্রায় ডজন খানেক সাবেক মন্ত্রী গ্রেপ্তার হন।
এরপর সোমবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের আসির প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স মনসুর বিন মুকরিন তার কয়েকজন সহকর্মীসহ নিহত হন।
প্রিন্স মনসুর নিহত হওয়ার খবর প্রকাশের পর একই দিন প্রিন্স আবদুল আজিজ নিহত বলে গুজব ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এই প্রিন্স ফিলিস্তিন ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার কারণে মুসলিম বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। তার নিহত হওয়ার খবরে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি সরকার। -এএফপি