আর ঠিক কতটা ছোট হবে ক্রিকেটের ফরম্যাট। এখন এই প্রশ্নটাই যেন অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। টি-২০ ক্রিকেটের পর এবার টি-১০ ক্রিকেট। হাতে সময় কমছে। পাল্টা দিয়ে কমছে ক্রিকেট দেখার সময়। সব থেকে ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেট এই নিয়ে দুই বছরে পড়ল। এমন নয় যে মানুষ দেখছেন না! দেখছেন, উপভোগও করছেন টি-১০ ক্রিকেট।
দুবাইয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট যেন মনোরঞ্জনের আখড়া। টিভি খুলে বসে পড়লেই হলো। কোনও থ্রিলার সিনেমার থেকে আপনাকে কম রোমাঞ্চ দেবে না। এটুকু হলফ করে বলা যায়। আর সেই টি-১০ টুর্নামেন্টে এবার ক্রিকেট নয়, যেন হলো ছেলেখেলা। মাত্র ৬০ বলে হল ১৮৩ রান। ভাবতে পারেন!
টুর্নামেন্টের অষ্টম ম্যাচে এমনটা হলো। নর্দার্ন ওয়ারিয়র্সের ব্যাটসম্যানরা যেন খেলা করলেন পাঞ্জাবি লেজেন্ডসের বোলারদের নিয়ে। ১০ ওভারে নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স তুলল ১৮৩ রান। যা কিনা টি-১০ ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান। তবে যেভাবে এই টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে তাতে কিছুদিনের মধ্যে যে এই রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে, তা বলাই যায়।
নর্দার্ন ওয়ারিয়র্সে একাধিক ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন। সিমন্স, ডারেন সামি, আন্দ্রে রাসেলের মতো তারকারা যে বিগ-হিটার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ক্যারিবিয়ান তারকারাই হইচই ফেলে দিলেন এবার। তারা প্রমাণ করে দিলেন, ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে তারা হলেন বাঘের মতো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা নিকোলাস পুরান প্রথম ঝড় তুলেছিলেন। ২৫ বলে করলেন ৭৭ রান। ১০টা ছক্কা ও দুটো বাউন্ডারি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গেলেন সিমন্স। ২১ বলে ৩৬ রান করে। প্রথম উইকেটেই ১০৭ রানের পার্টনারশিপ খেলেন দুজনে।
আন্দ্রে রাসেল নেমে ৯ বলে ৩৮ রান করেন। এরপর পাওয়েল এসে যোগ দেন। তিনি ৫ বলে ২১ রান করেন। ব্যাটিং-ঝড় যেন কিছুতেই থামছিল না। আর পাঞ্জাবি লেজেন্ডসের বোলাররা বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কোথাও বল ফেলতে হবে! সব মিলিয়ে ২০টা ছক্কা ও ১০টা চার মারেন ওয়ারিয়র্স ব্যাটসম্যানরা।
ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবি লেজেন্ডস করে ৮৪/৭। ৯৯ রানে ম্যাচ জেতেন রাসেলরা। রবি বোপারা ১৫ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন।