সানিজদ সিফাত
ধান,নদী আর খাল এই তিনে বরিশাল। এক সময় খালের নগরী ছিল বরিশাল, কিন্তু শুধু খাল নয় নগরিতে খালের সসাথে সমানে ছিল পুকুর ও জলাভূমি। বরিশাল নগরীতে এক সময় অগনতিক পুকুর ছিল যার সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে । কিন্তু বর্তমানে পুকুর হ্রাসের হার যেন আটকানোই যাচ্ছে না। আর এই ভরাট কাজে ব্যাবহৃত হচ্ছে অভিনব সব পদ্ধতি।
নদী থেকে বালি উত্তোলন করে ড্রেজার মেশিনের মধ্যমে সল্প সময়ের মধ্যেই ভরাট হচ্ছে পুকুর,জলাভূমি। কখনো আবার বালি আনাহচ্ছে ট্রাকক বা অন্য কোনো মাধ্যমে। আর এই ভাবে পুকুর,জলাধার ভরাটের ফলে সৃষ্ট হচ্ছে জলবদ্ধতা,পানির স্তর নেমে যাওয়া, পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট সহ নানা সমস্যা। এক সময়ে বাংলার শষ্য ভান্ডার ও বলাহত বরিশালকে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে ধানী জমি বালু দিয়ে ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করা হচ্ছে।
আর এই ভাবে জমি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে জমির পূর্বের মালিকরা যার ফলে বর্তমানে ফসলী জমি ভরাটও একটি সাধারন দৃশ্যে পরিনত হয়েছে।যার ফল স্বরুপ দিনে দিনে কমে ছে ফসলী জমির পরিমাপ। এক্ষেত্রে যদিও প্রশাসনের করনীয় তেমন কছু নেই, কারন যেসব পুকুর বা জলাধার ভরাট হচ্ছে তার অধিকাংশই ব্যাক্তি মালিকানাধীন। যার ফলে এই বিপর্যয় আটকানোর কোনো সহজ রাস্তাও খোলা নেই।
যদি দিনে দিনে এইভাবে সকল জলাধার ভরাট হতে থাকে তাহলে ভবিষৎতে বড় ধরনের বিপর্যয়েরর সম্মুখীন হতে হবে বরিশাল নগরীকে। তাই অনেকে মনে করছেন এই সমস্যা দূরি করনের প্রধান হাতিয়ার হলো জনসচেতনতা। বেশি বেশি প্রচারনা করে সাধারন জনগনকে সচেতন করে তুলতে পারলেই এই বিপর্যয় থামানো সম্ভব।