নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে ২০–দলীয় ঐক্যজোটের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। অপর দিকে ২০–দলীয় জোটের নেতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ অন্যরা বৈঠকে অংশ নেন।বৈঠক শেষে অলি আহমদ ইসির সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আলোচনার উল্লেখযোগ্য বিষয়বস্তু হলো—
# নির্বাচনের সময় বিতর্কিত কর্মকর্তাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি করা।
# নির্বাচন কমিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব জনগণের আস্থা অর্জন করা, যা নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত করতে পারেনি।
# বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, যা সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নের চক্রান্ত। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কোনো ধরনের অঘটন ঘটলে এর দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।
# নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
# নির্বাচনকালীন সরকারের রেডিও এবং টেলিভিশন নির্বাচন কমিশনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা বাঞ্ছনীয়।
# নির্বাচনকালীন গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।
# পুলিশের অনুরূপ সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া।
# আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং টহল দেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা।
# ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়ানো।
# জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইভিএম ব্যবহার না করা।
# বিএনপিসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।