জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো নেতা কে আছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি জানতে চাই, দেশবাসীও জানতে চায়; বলুন-প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? ড. কামাল হোসেন না তারেক রহমান?-কে হবেন? হু ইজ দেয়ার পিএম ফেইস?
বিএনপিসহ কয়েকটি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দল নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়।
এসব দাবি নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বসেছিলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে কোনো সমঝোতা না হলেও তারা ‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে’ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য ইতিমধ্যে তিনটি আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির নেতারা।
কিন্তু দুর্নীতির দুই মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় আদৌ তিনি ভোট করতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।
আর খালেদার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত এক দশক ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন লন্ডনে।
দুর্নীতির দুই মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় হয়েছে যাবজ্জীবন সাজার রায়।
এদিকে ঐক্যফ্রন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে কামাল হোসেনকে তাদের ‘প্রধান নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করে। ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন জনসভায় তাকে দেখা গেছে ‘প্রধান অতিথি’ হিসেবে, আর মির্জা ফখরুল ছিলেন ‘প্রধান বক্তা’।