শেখ সুমন
খুলনায় দিন দিন বেড়ে চলেছে বখাটের দৌরাত্ম্য। ২২ দিনের ব্যবধানে খুলনা মহানগরী, দাকোপ ও বাজুয়া ইউনিয়নে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে ৩ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে এসব ছাত্রীদের উত্যক্ত করতো বখাটেরা। এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর রাতে মহানগরীর হরিণটানা বাগমারা এলাকায় বখাটেদের হুমকিতে আত্মহননের পথ বেছে নেয় মেধাবী স্কুলছাত্রী সামছুন্নাহার চাঁদনী। ওই রাতে বখাটেরা বাড়িতে এসে তাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল। একইভাবে বখাটের নির্যাতনে ৬ নভেম্বর দাকোপ সরকারি এল বি কে মহিলা কলেজের ছাত্রী জয়ী মন্ডল ও ২৭ অক্টোবর বাজুয়া এসএন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী বন্যা রায় আত্মহত্যা করেন। এছাড়া ২ নভেম্বর দুপুরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ইভটিজিংয়ের শিকার খুলনা আযমখান কমার্স কলেজের আরেক ছাত্রী। এসব ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে থানায় ৩টি মামলা হয়েছে।
নারীবাদী সংগঠন খুলনা প্রগতিশীল নারী সমাজের সদস্য সচিব সুতপা বেদজ্ঞ জানান, সহজলভ্য ইন্টারনেটের যথেচ্ছ ব্যবহার ও রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। বখাটেদের উৎপাত বন্ধ করার জন্য তিনি এসব অপরাধীদের দ্রুত কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে সর্বশেষ ১২ নভেম্বর খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ইভটিজিংয়ের ঘটনা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে ওই সভায় বখাটেদের দৌরাত্ম্য ও তৎপরতা রুখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ জানান, জনগণ এগিয়ে না এলে পুলিশের একার পক্ষে ইভটিজিং নির্মূল করা কঠিন। ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।