এপ্রিল ২৫, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

জান্নাত আসলে কেমন?

সুরা হাদিদে বলা হয়েছে, হাশরের ময়দানে মানুষ তিন দলে বিভক্ত হবে। এক দল সুস্পষ্ট কাফির ও মুশরিক। এদের জাহান্নামের দরজা দিয়ে  ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। দ্বিতীয় দল মুমিনদের। তাদের সঙ্গে থাকবে ঈমানের আলো। আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘সেদিন (বিচারের দিন) আপনি দেখবেন মুমিন ও মুমিনাদের, তাদের সম্মুখভাগে ও ডান পাশে তাদের জ্যোতি ছোটাছুটি করবে। বলা হবে, আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ জান্নাতের, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই মহাসাফল্য।’ (সুরা : হাদিদ, হাদিস : ১২)

সুরা হাদিদে বলা হয়েছে, হাশরের ময়দানে মানুষ তিন দলে বিভক্ত হবে। এক দল সুস্পষ্ট কাফির ও মুশরিক। এদের জাহান্নামের দরজা দিয়ে  ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। দ্বিতীয় দল মুমিনদের। তাদের সঙ্গে থাকবে ঈমানের আলো। আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘সেদিন (বিচারের দিন) আপনি দেখবেন মুমিন ও মুমিনাদের, তাদের সম্মুখভাগে ও ডান পাশে তাদের জ্যোতি ছোটাছুটি করবে। বলা হবে, আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ জান্নাতের, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই মহাসাফল্য।’ (সুরা : হাদিদ, হাদিস : ১২)

জান্নাত কেমন
জান্নাত অর্থ—বাগান, উদ্যান, ঢাকা, আচ্ছন্ন ইত্যাদি। জান্নাত বৃক্ষ তরুলতায় আবৃত হওয়ার কারণে একে জান্নাত বলা হয়। জান্নাত এমন শান্তির জায়গা, যার বর্ণনা দেওয়া কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। জান্নাতে রয়েছে এমন সুখ-শান্তি, যা কোনো হৃদয় কল্পনা করেনি এবং কোনো চোখ দেখেনি। জান্নাতে থাকবে উন্নত মানের আসন। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘জান্নাতিদের তাদের ধৈর্যের প্রতিদানস্বরূপ প্রাসাদ দেওয়া হবে। তাদের সেখানে অভিবাদন ও সালাম দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। তথায় তারা স্থায়ীভাবে থাকবে। আশ্রয়স্থল ও আবাসস্থল হিসেবে তা কতই না উত্তম।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭৫-৭৬)

অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে বহু প্রাসাদ, যার ওপর নির্মিত থাকবে আরো প্রাসাদ তথা বহুতলবিশিষ্ট, যার পদদেশে নদী প্রবাহিত।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২০)

মহানবী (সা.) বলেছেন, জান্নাতে মুমিনদের জন্য একটি মুক্তার তৈরি বিরাট গম্বুজ থাকবে; যার ভেতরের অংশ ফাঁকা থাকবে। ওই গম্বুজটির দৈর্ঘ্য ৬০ মাইল লম্বা হবে। তার প্রতিটি কোণে মুমিনদের সংশ্লিষ্ট স্ত্রী ও খাদেমরা থাকবে। কোনোটির দূরত্ব এত বেশি হবে যে এক কোণের লোক অন্য কোণের লোকদের দেখতে পাবে না। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

প্রস্থের দূরত্ব হবে জাবিয়াহ (একটি জায়গার নাম) থেকে সানআর (একটি জায়গার নাম) দূরত্বের সমতুল্য (তিরমিজি)।

মহানবী (সা.) বলেছেন, জান্নাতে চাবুক রাখার পরিমাণ সামান্য জায়গা দুনিয়া ও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)

জান্নাতের সুঘ্রাণ ৫০০ মাইল দূর থেকে পাওয়া যাবে। জান্নাতিরা নানা ধরনের ফলফলাদি ভক্ষণ করবে। তারা হবে ৬০ হাত লম্বা এবং ১৪ তারিখের চাঁদের মতো উজ্জ্বল। তাদের উন্নত মানের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হবে। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘জান্নাতে জান্নাতিদের জন্য ফলমূল ও কাঙ্ক্ষিত সব কিছু থাকবে।’ (সুরা : ইয়াসিন)

আরো ইরশাদ করেন, ‘তারা জান্নাতে হেলান দিয়ে বলতে থাকবে—তথা তারা প্রচুর ফলমূল ও পানীয় বস্তু আনতে বলবে।’ (সুরা : সাআদ) আরো ইরশাদ করেন, ‘জান্নাতে আছে দুধের নদী, যার স্বাদ অপরিবর্তনীয় ও পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নদী এবং পরিশোধিত মধুর নদী ও তথায় থাকবে বিভিন্ন ফলমূল ও তাদের প্রতিপালকের ক্ষমা।’ (সুরা : মুহাম্মদ)

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official