যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, জনগণ নির্বাচনী মেজাজে রয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র, হুমকি-ধমকি দিলে নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে।
বিরোধী দলকে এ কথা বুঝতে হবে।বি. চৌধুরী আজ বুধবার বিকালে বিকল্পধারার নির্বাচনী কার্যালয়ে বিকল্পধারার মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে সাংবাদিকেদের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচনী মেজাজে রয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র হুমকি-ধমকি দিলে নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে।
বিরোধী দলকে এ কথা বুঝতে হবে। নির্বাচন ঠেকিয়ে দেওয়া হবে, ভোটে বাধা দেয়া হবে এমন কোনো আভাস দেওয়া হলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। সেটা হবে ইতিহাসের নির্মম অধ্যায়। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারসাম্য রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় আমাদের যদি আপস করতে হয়, সে পরিস্থিতি আনা উচিত হয়, তাহলে যে দলটি সরকার গঠন করবে সে দলের শরিকদের অধিক সংখ্যক আসন দিয়ে ব্যালেন্স করতে হবে।
মহাজোটের কাছে কয়টি আসন চান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নেব উত্তরে বি. চৌধুরী বলেন, এই মুহুর্তে এটা বলবো না। আমরা রাজনীতিতে সংশোধন আনতে চাই। ভাসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই৷ কোনো দল একক সিদ্ধান্তে যেন স্বেচ্ছাচারিতা করতে না পারে বিকল্পধারা সেই ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এক দিনের জন্য নয়, আসতে হবে সুনিদিষ্ট সময়ের জন্য। সেটা নির্বাচনের কয়ক সপ্তাহ আগে হতে হবে। নির্বাচনের সময়ে তারা যেখানে যেতে চায়, যেতে দিতে হবে। নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তাদেরকে বেশ কয়কদিন থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
মহাজোটের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বি. চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের জোটেও ভালো ভালো প্রার্থী রয়েছেন। আমরা আলোচনায় সে সব কথা জানিয়েছি তাদের। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ইট ক্যান বি এ হিস্টোরিক ইলেকশন উল্লেখ করে বলেন, এর উল্টো হলে ডিজাস্টার হবে।
বি. চৌধুরী বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, নতুন ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচন দেখতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ নির্বাচন কমিশন এখন একশত ভাগ স্বাধীন।
অনুষ্ঠানে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, এইচ.এম গোলাম রেজা, মযহারুল হক শাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান শেখ মো. আসাদ, গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি এসআই মামুন, বিকল্পধারার সহ-সভাপতি মাহবুব আলী, শিপ্রা রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।