বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দু-গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় এক জনকে বরিশাল শেরইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পসিস্থিতি সান্ত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মী ও তার বান্ধবীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। দু-গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দাবীদার খায়রুল হাসান সৈকত, ছাত্রলীগ কর্মী নাফিদ, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী শিপন হাওলাদার ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় কলেজের শহীদ মিনার গেটের বটতলায় এই ঘটনা ঘটে। আহত সূত্রে জানা যায়, কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী নাফিদ তার বান্ধবীকে নিয়ে কলেজের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন বট গাছের নিচে আড্ডা দেয়ার সময় বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী শিপন তাদের কাছে চাঁদা দাবী করে। নাফিদ চঁদা দিতে না চাইলে তার বান্ধবীকে নিয়ে টানা হেঁচরা করলে বাঁধা দেয় নাফিদ। একপর্যায়ে নাফিদকে কুপিয়ে জখম করে শিপন ও তার সহযোগীরা। পরে নাফিদ বিষয়টি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা খায়রুল হাসান সৈকতকে জানালে সৈকত তার দলবল নিয়ে শহীদ মিনার গেটে আসলে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সৈকত গ্রুপ শিপনকে কুপিয়ে জখম করে। পাল্টা হামলায় আহত হয় সৈকত ও নোমান। এতে শিপন গুরুত্বর আহত হওয়ায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আহত আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, শিপন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাদ্দামের অনুসারী হওয়ায় নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবী করে কলেজের শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ইভটিজিং, মাদক সেবনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার সত্যরঞ্জন খাসকেল বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। কলেজ কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।