আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংঘাতের উসকানি দিয়ে সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি হয় না। ফেনীর সাজানো হামলার ঘটনা সংঘাতের উসকানি।
গতকাল দুপুরে রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘আমরা সংঘাত চাই না, সমঝোতা চাই’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ১১ দফা জনগণের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব! আপনাদের মুখে সংলাপের কথা ও মনের কথার দূরত্ব যোজন যোজন। আপনারা যখন সমঝোতার কথা বলেন, তখন আমাদের ভাবতে হয় এটা কি আপনাদের মনের কথা, নাকি মুখের কথা?’ তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে একটা কাজের সমঝোতা আমরা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বেগম জিয়াকে ডেকেছিলেন। এর পরও আপনার ছেলের (আরাফাত রহমান কোকো) মৃত্যুর পর তাকে সমবেদনা জানাতে আপনার বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন আপনারা যে আচরণ করেছেন, যারা তা করেছেন তারা তো সমঝোতায় বিশ্বাস করেন না। এ দরজা কী করে খুলব, তা আপনারা ভাবুন। ’
নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো দলীয় বক্তব্য নিয়ে রাজনীতির চর্চা করে নিজেদের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করুক, তা আমরা চাই না।
কিন্তু বিএনপি এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায় যার মাধ্যমে বিএনপি যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে। ’ বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার ‘আসল খবর বের হয়েছে’ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘থলের বিড়াল অবশেষে মিউ ডেকেছে। গাড়ি পোড়ানো তো বিএনপির পুরনো অভ্যাস, এটা আওয়ামী লীগের ট্র্যাক রেকর্ডে নেই। পরিকল্পিতভাবে রংসাইডে বাস রাখা হয়েছিল এবং পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক করা হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টেই এটা এসেছে। ’ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.), অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ (অব.), দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ। এ সময় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছারসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।