অপহরণের তিনদিন পর মেহেপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর হাসানুজ্জামান ওরফে বড় হাসানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের দাবি করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে উথলী বাজার থেকে একটি দেশীয় শার্টারগানসহ তাকে গ্রেফতার করে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবারের এই ঘটনা ঘটলেও বুধবারই তার গ্রেফতারের বিষয়টা নিশ্চিত হওয়া যায়।
এর আগে, গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি তার নিজবাড়ি চাঁদপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে অপহৃত হন।
রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় এ ইউপির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) হাসান গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এসময় ৭/৮ জন লোক নিজেদেরকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই হাসানের পরিবারের পক্ষ থেকে গাংনী থানা, মেহেরপুর ডিবি ও প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন থানা ও ডিবিতে খোঁজ নিয়েও কোন সন্ধান না পেয়ে গাংনী থানায় একটি জিডি করেন। যার নম্বর- ৫৬৫/১৭ তারিখ- ১২/১১/১৭ ইং। মঙ্গলবার সকালে সংবাদ আসে যে, হাসান মেম্বরকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
জীবননগর থানার ওসি এনামুল হক জানান, হাসান মেম্বর অপহরণ হয়েছিল কিনা তা জানা নেই। তবে মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় উথুলী বাজারে টহলরত পুলিশ তাকে একটি শার্টারগানসহ আটক করে।
পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসান মেম্বরকে সাদা পোশাকে তুলে নেয়ার পর তার পরিবারের লোকজন কোথাও সন্ধান না পেয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন।