বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, পুলিশ সিকিউরিটির মানে কি আমাকে ঘিরে রাখা। এভাবে ঘিরে থাকলে আমি আইনজীবীদের দেখতে পাই না। তাদের সঙ্গে কথা বলতেও পারি না। পুলিশ তো আদালতের বাইরে থাকবে।
নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য বুধবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯নং বিশেষ জজ মাহমুদুল কবিরের আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ারে বসে তিনি আদালতে আসেন। এ কারাগারেই দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া। আদালতে হাজির করার পর তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া আদালতের পরিবেশের কথা প্রশ্ন তুলে বিচারককে বলেন, এই ছোট্ট পরিসরের আদালতে কীভাবে আপনি (বিচারক) এ মামলার বিচার করবেন। আগের আদালতে বিচার করুন।
এ সময় বিচারক বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। তবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রসিকিউটরকে বলছি।
খালেদা জিয়া শুনানি চলাকালে আরও বলেন, ‘মামলা দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে আমাদের আটকে রাখা হচ্ছে। তাহলে বলে দেয়া হোক যে, আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে মামলা চলবে, অন্যদিকে তারা (ক্ষমতাসীন দল) নির্বাচন করবে- এটা তো হতে পারে না।’
শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রশ্ন রাখেন, ‘আমার মামলাগুলো কেন এত দ্রুত বিচার করা হচ্ছে? কয়টা মামলা দ্রুত বিচারে নিষ্পত্তি করা হয়েছে? সেভেন মার্ডার (নারায়ণগঞ্জের সাত খুন) কি দ্রুত বিচার আইনে হয়েছে?’
‘বর্তমান রাজনীতির সঙ্গে সবকিছু চলছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়া নির্বাচনের পর অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আমার নেতাকর্মীরা ব্যস্ত থাকবেন। কেউ আসতে পারবেন না। এ কারণে নির্বাচনের পর শুনানির দিন ধার্য করা হোক।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্য শেষে আদালত ৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। দুপুর সোয়া ১টায় বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।