শীতের সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে এখন শুধুই উৎসবের আমেজ। তবে সহিংস ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে থাকছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে এই ভোটযুদ্ধের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন রংপুরের দ্বিতীয় নগর পিতা। কে হচ্ছেন নগর পিতা- এনিয়ে গোটা শহরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু, জাতীয় পার্টির (এ) মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলার মধ্য থেকেই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন নগর পিতা।
এবার নির্বাচনে মোট ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৭টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। মেয়র পদে মোট ৭ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাংলাদেশে এই প্রথম সিটি নির্বাচনে রংপুর বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া ওই কেন্দ্রসহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।
গতকাল বুধবার রাতে রংপুর অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে রিটার্নিং ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ২৭ জন প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সামান্য জরিমানা করা হয়েছে। এর বাইরে বড় ধরনের কোন আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি।