বৃহস্পতিবার সকালে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় হাসপাতালের বাইরে ইসরাইলি হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আওদা হাসপাতালের বাইরে একটি গাড়িতে হামলাটি হয়। নিহত সাংবাদিকরা স্থানীয় কুদস নিউজ নেটওয়ার্কের জন্য কাজ করছিলেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে একটি গাড়ি আগুনে পুড়ে যেতে দেখা গেছে। ভিডিওটি থেকে সাদা রঙের একটি ভ্যানের স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে, যেটিতে বড় লাল অক্ষরে ‘প্রেস’ শব্দটি লিখা ছিল।
নিহত সাংবাদিকরা হলেন, ফাদি হাসসুনা, ইব্রাহিম আল-শেখ আলী, মোহাম্মদ আল-লাদাহ, ফয়সাল আবু আল-কুমসান ও আয়মান আল-জাদি।
আল-জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরিফ বলেছেন, আয়মান আল-জাদির প্রসূতি স্ত্রীকে সন্তান জন্মদানের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি হাসপাতালের সামনে স্ত্রী ও সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন।
কুদস নিউজ জানিয়েছে, বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
এছাড়া গাজা শহরের জেইতুন পাড়ায় একটি বাড়িতে হামলায় আরো পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে। চিকিৎসকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকে আছে বলে সতর্ক করেছে।
সংবাদকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করে ইসরাইলি হামলা এবারই প্রথম নয়। চলতি মাসের শুরুতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটি (সিপিজে) এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইসরাইলের হামলায় চার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশটিকে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছে।
সিপিজে অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় অন্তত ১৪১ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
ইসরাইল দাবি করে আসছে, তাদের অভিযান শুধুমাত্র সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে এবং হামাস যোদ্ধারা বেসামরিক মানুষদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।