দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের কাজের। তৈরি হচ্ছে কক্সবাজার সদরেই ঝিনুক আকৃতির রেলওয়ে স্টেশনও। ঝিনুক আকৃতির এ স্টেশন দেখলেই বোঝা যাবে এটি সমুদ্র সৈকতের রেলওয়ে স্টেশন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ অগ্রাধিকার প্রকল্পটির অগ্রগতি দেখার জন্য রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি, সচিবসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা একাধিকবার পরির্দশন করেছেন।
সর্বশেষ গত শনিবার রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেন কক্সবাজার দোহাজারি রেললাইনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল রবিবার রেলের ডিজি মো. আমজাদ হোসেন চট্টগ্রামে উপস্থিত হয়ে রেলের এ প্রকল্পসহ বিভিন্ন কাজের দিক-নির্দেশনামুলক রেলের উধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক ও আলোচনা হয়েছে। ডিজি আমজাদ হোসেনের সাথে জরুরী বৈঠকে ছিলেন পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল জিএম (ভারপ্রাপ্ত জিএম) ইশা-ই-খলিল, প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার-দোহাজারি প্রকল্পের পিডি মফিজুর রহমানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা।
এর আগে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি, রেল মন্ত্রনালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, পূর্বাঞ্চলের জিএম প্রকৌশলী আবদুল হাইসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের আওতায় এ কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন স্থাপিত হলে যোগাযোগসহ দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বারও খুলবে। তবে এবার আর মিটারগেজ সিঙ্গেল লাইন নয়, ব্রডগেজসহ ডুয়েল লাইনের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে এ প্রকল্পটি।
বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে শুরু করেছে এ প্রকল্পের কাজ। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যটন শহর কক্সবাজার রেল নেটওর্য়াকের আওতায় আসবে। এতে পর্যটনশিল্পের যেমন বিকাশ ঘটবে, তেমনি বিস্তৃত হবে সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যও।
তবে এর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুনধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নিমার্ণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই কথা বললেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. মফিজুর রহমান
রেলওয়ে সূত্র জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আকর্ষণ করার জন্যই সেখানে আইকনিক ইন্টারন্যাশনাল রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঝিনুক আকৃতির এ স্টেশন দেখলেই বোঝা যাবে এটি সমুদ্র সৈকতের স্টেশন। স্টেশনটির অবস্থান হবে কক্সবাজার বাস টার্মিনালের বিপরীতে চৌধুরীপাড়ায়। তবে এ প্রকল্পটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৮টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। তাই এ প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।