কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আকায়েদ উল্লাহ দেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ দেশের কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তার জড়িত থাকার প্রমাণ এ পর্যন্ত মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে তিনি জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি আকায়েদ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেলফ র্যাডিকালাইজড হয়েছে। তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি তাতে মনে হয়েছে ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আকায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ছিল।
ঢাকার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকায়েদ উল্লাহর স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের জিগাতলার বাসা থেকে মিন্টু রোডের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি বাস টার্মিনালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি অভিবাসী আকায়েদ উল্লাহকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।