সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের বিষয়টি আলোচনায় এলে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, ভারতে এ ধরনের কোনো মন্ত্রণালয় আছে কিনা। থাকলে তিনিও বাংলাদেশে আগামীবার সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করবেন।
এ সময় খালিদ মাহমুদ চৌধ্রুী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভারতে পৃথক সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশেও নতুন এই মন্ত্রণালয় সৃষ্টির পক্ষে নিজের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানান। ভারতে ২০০৬ সালে সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করা হয়, যার মন্ত্রী একজন মুসলিম রাজনীতিবিদ।
গেল শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার বিষয়েও বৈঠকে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটু ভাবতে হবে। কারণ এখন একজন শিক্ষার্থী অনার্স পাস করে ২৪ বছর বয়সে। বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা হলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি একই চাকরির পরীক্ষা যাতে সর্বোচ্চ তিনবার দিতে পারে- তেমন একটা ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ফের ক্ষমতায় গেলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনেরও আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা।