আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতের ত্রাস ভারতীয় মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন এ ডন। ভারতের দাবি দাউদ বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। আর আত্মগোপনে থেকেও সদর্পে নিজ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন দাউদ। কিন্তু এবার দাউদের ব্যবসার দায়িত্ব নিচ্ছে একটি নতুন ‘লেডিস গ্যাং। ‘
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিজের পরিবারের পুরুষদের ওপর আর বিশ্বাস নেই আন্ডারওয়াল্ড ডন দাউদে ইব্রাহিমের। এছাড়া দাউদের এক ভাই অসুস্থ এবং আর এক ভাই ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে। দাউদের পারিবারিক ব্যবসা রীতিমতো লাটে উঠতে চলেছে।
এমতাবস্থায় দাউদ নিজের সম্মান রক্ষা করতে এবং ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তার ব্যবসার দায়িত্ব দিতে চলেছেন লেডিস গ্যাংদের হাতে। অন্তত এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের।
অপরাধ জগতের সঙ্গে যারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তারা তাদের পরিবারের নারীদের অন্তত এসব থেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করে। কিন্তু দাউদের বিষয়টা অন্যরকম । পরিবারের পুরুষদের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে তার ব্যবসার হাল ধরার জন্য নারীদেরকেই পছন্দ করেছেন দাউদ।
জানা গেছে, দাউদের ডি–কোম্পানি তৈরি করেছে ‘লেডিস উইং’। যাদের প্রধান পরিচালক হবেন নারীরা। তদন্তকারী কর্মকর্তারা দাউদের ফোন কল ট্যাপ করে জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন ক্ষমতাশালী নারীদের কাছ থেকে এই নারী গ্যাংকেই জোর করে টাকা আদায় করার কাজে লাগানো হবে। দাউদকে এই ‘লেডিস উইং’ তাদের কাজের গতিবিধি সব সময় জানাতে থাকবে। তবে তারা কখন, কোন ‘মিশনে’ যাবে তা বলে দেবেন দাউদই।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, দাউদের ঘনিষ্ঠ সহকারি ছোটা শাকিল এই ‘লেডিস গ্যাং’য়ের দায়িত্ব দিয়েছে শাকিলের ঘনিষ্ঠ উসমান নামের একজনকে।
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার পি কে জৈন জানান, ‘আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি দাউদ নিজের ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে শেষে নারীদের ব্যবহার করছে। ’ ডি–কোম্পানির এই নতুন বিষয় প্রকাশ্যে আসে কিছুদিন আগেই।
খার পুলিশ থানায় এক নারী অভিযোগ করে জানান যে, তাঁকে পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে এক নারী ফোন করে ১ কোটি টাকা দাবি করে এবং তা না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এই অভিযোগের পরই গোয়েন্দারা তৎপর হয়ে ওঠে এবং দাউদের ফোন ট্যাপ করতে শুরু করে।
সূত্র: আজকাল
বা :মু : প্র: সিমু আক্তার